ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই মেতে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা কিনে লাগানো হয় ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন জায়গায়। ফলে এসব ভিনদেশি পতাকার বেচাকেনা হয় বেশ। কিন্তু অন্যান্য বিশ্বকাপের তুলনায় এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। পতাকা বিক্রি কম। এজন্য মন খারাপ বিক্রেতাদের।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে কথা হয় মো. আসিফ নামের একজন পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত ৮-১০ দিন হলো পতাকা বিক্রি করছি। বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি তবে অন্যান্যবারে যেমন বিশ্বকাপ এলেই ১ মাস আগে থেকেই পতাকা বিক্রি শুরু হয়ে যেতো, এখন আর সেরকম হয় না।’
আগে রাজধানী ঢাকার প্রত্যেকটা ভবনে ২০-২৫টি করে পতাকা দেখতাম। এখন তেমন একটা চোখে পড়ছে না। রাজধানীর ভবনগুলো খালি (পতাকাহীন) দেখা যায় বলেও জানান আসিফ।
মো. ইসরাফিল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে পতাকা বিক্রি ভালো হয়েছিল। এবার বিক্রি অনেক কম। গত বিশ্বকাপে একদিনে কোনদিন মোট ৮ হাজার, কোনদিন ১০ হাজার আবার কোনদিন ১২ হাজার টাকাও বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে যা আগের বারের তুলনায় বিক্রি খুবই নগণ্য।
এদিকে, পতাকা বিক্রি কম হওয়ায় চোখেমুখে হতাশার ছাপ ষাটোর্ধ এক বিক্রেতার। সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কি আর কথা বলব, পতাকার তেমন বিক্রি নেই। তেমন কেউই কিনছে না। চিন্তায় আছি বাকিগুলো বিক্রি করতে পারি কিনা।’
পারস্য উপসাগরের দেশ কাতারে রোববার (২০ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের মাত্র একদিন বাকি থাকলেও এসব পতাকা কেনার জন্য ক্রেতাদের সমাগম খুবই কম দেখা গেছে।
রাজধানীর গুলিস্তানে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা মেলে দুজন ক্রেতার। এরমধ্যে বিজয় নামের একজন চাকরিজীবীকে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের দুটি পতাকা কিনতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। সেজন্য আর্জেন্টিনার পতাকা কিনেছি। ব্রাজিলের পতাকাটি কিনেছি একজনকে গিফট (উপহার) দেওয়ার জন্য।’
ব্রাজিলের পতাকা কেনার পর ইসতিয়াক আহমেদ সিয়াম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি ব্রাজিল সমর্থন করি। তাই ব্রাজিলের পতাকা কিনেছি।’