গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধের ৩০০তম দিন ছিল গতকাল। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির তীব্র সমালোচনার পরও যুদ্ধের ভয়াবহতা কমেনি।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনে আরো ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি বাহিনীর গত ২৪ ঘণ্টার বোমা হামলায় নিহত ও আহত হয়েছেন তারা। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। চাপা পড়েছেন তাদেরকে গণনার মধ্যে ধরা হয়নি।’
হামাস ও ইসরাইল, দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত স্থায়ী কোনো সমাধান আসেনি।
এরমধ্যে ইসরাইলি গুপ্ত হামলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এমন আবহে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অস্থিরতা বেড়েছে আগের যে কোনো তুলনায় বেশি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে সীমান্তে পেরিয়ে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ওই হামলায় ১২০০ ইসরাইলি নাগরিক প্রাণ হারান। সে সময় ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। ওই হামলার পরপরই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত প্রায় ১০ মাসের অভিযানে গাজায় মোট নিহত হয়েছে ৩৯ হাজার ৪৮০ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৯১ হাজার ১২৮ জন।
জাতিসংঘ বলছে, গাজা উপত্যকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।