ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান পটুয়াখালীতে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন যোদ্ধাদের নতুন প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ফিলিস্তিনিরা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান মুরাদনগরের জোরপূর্বক হিন্দু পরিবারের রাস্তা দখলের পায়তারা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ তজুমউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন

আন্দোলন নিয়ে শিক্ষকদের যে হুমকি দিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট বা শেয়ার না করতে সতর্ক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এই আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিপিই।

বুধবার (৩১ জুলাই) অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা কোটা আন্দোলন সংক্রান্ত কনটেন্ট যা সরকারকে বিব্রত করে এমন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থি।

এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতঃপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবহিত করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান

আন্দোলন নিয়ে শিক্ষকদের যে হুমকি দিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

আপডেট সময় ১২:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট বা শেয়ার না করতে সতর্ক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এই আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিপিই।

বুধবার (৩১ জুলাই) অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা কোটা আন্দোলন সংক্রান্ত কনটেন্ট যা সরকারকে বিব্রত করে এমন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থি।

এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতঃপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবহিত করা হয়েছে।