বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের মুরাদনগরে ভবনের ছাদ থেকে ফেলা মারাত্মকভাবে আহত ২ ছাত্রকে দেখতে আসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতনা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে তিনটায় প্রতিমন্ত্রী কেবিন ব্লকের ৭ম তলায় আইসিইউ এর ১নং শয্যায় চিকিৎসাধীন মো. জালাল (২৮) এবং ডি ব্লকের ৭ম তলায় অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের এমপি-৩৪নং শয্যায় চিকিৎসাধীন মো. ইকবাল এর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আটাশ বছর বয়সী জালাল মুমূর্ষু অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কুড়ি বছর বয়সী তরুণ মো. ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ফয়সালের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মো. ইকবালের ভাই মো. এনাম জানান, মো. ইকবাল চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র এবং ওই কলেজের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার দিন ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের হামলায় তার ভাইয়ের পা, মাথা, কোমড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ফয়সাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই চলমান কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের মুরাদনগরে একটি ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের কমপক্ষে ১৫ জনকে নিচে ফেলে দেয় ও নারকীয়ভাবে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী মরাত্মভাবে জখম হয়। মারাত্মকভাবে আহত মো. জালাল এবং মো. ইকবাল ওই হামলার শিকার হয়।