ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ। ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা

ছাত্রলীগের হামলা হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশবাসীকে এহেন ঘৃণ্য পাশবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য।

সংগঠনটির নেতা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবীব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খোন্দকার লুৎফর রহমান এবং আসাদুর রহমান খান আসাদ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়।

নেতারা বলেন, কোটা সংস্কারের ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক দাবিতে দেশের ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করার জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোমবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার আক্রমণের শিকার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী। সন্ত্রাসীরা ছাত্রী শিক্ষার্থীদেরও রাজপথে ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

তিনি বলেন, তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আহত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে। তাদের হিংস্র ছোবলের হাত থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেওয়া শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।

নেতারা বলেন, সরকারপ্রধানের প্রত্যক্ষ মদদে পরিচালিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সোমবারের এহেন নারকীয় হামলা ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের ওপর ৭১-এর ২৫ মার্চের হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলাকে মনে করিয়ে দেয়। নেতারা দীর্ঘসময় ধরে পরিচালিত হামলা বন্ধ এবং সন্ত্রার্সীদের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের দলকানা দায়িত্বহীন প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আর সুযোগ থাকতে পারে না।

নেতারা বিবৃতিতে নিজেদের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হিংস্র হামলা মোকাবিলা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অসম সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ায় তাদের অভিবাদন জানিয়ে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

নেতারা বিবৃতিতে বলেন, হামলা করে রক্ত ঝরিয়ে হতাহত করে অতীতে ছাত্রসমাজ ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যায় নাই, এবারো যাবে না। ছাত্রসমাজ তার অমিত তেজ আর বিপুল প্রাণশক্তি নিয়ে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে দাবি আদায়ে আবারো রাজপথে নেমে এসেছে, তাদের বিজয় অনিবার্য।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

ছাত্রলীগের হামলা হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশবাসীকে এহেন ঘৃণ্য পাশবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য।

সংগঠনটির নেতা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবীব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খোন্দকার লুৎফর রহমান এবং আসাদুর রহমান খান আসাদ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়।

নেতারা বলেন, কোটা সংস্কারের ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক দাবিতে দেশের ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করার জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোমবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার আক্রমণের শিকার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী। সন্ত্রাসীরা ছাত্রী শিক্ষার্থীদেরও রাজপথে ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

তিনি বলেন, তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আহত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে। তাদের হিংস্র ছোবলের হাত থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেওয়া শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।

নেতারা বলেন, সরকারপ্রধানের প্রত্যক্ষ মদদে পরিচালিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সোমবারের এহেন নারকীয় হামলা ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের ওপর ৭১-এর ২৫ মার্চের হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলাকে মনে করিয়ে দেয়। নেতারা দীর্ঘসময় ধরে পরিচালিত হামলা বন্ধ এবং সন্ত্রার্সীদের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের দলকানা দায়িত্বহীন প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আর সুযোগ থাকতে পারে না।

নেতারা বিবৃতিতে নিজেদের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হিংস্র হামলা মোকাবিলা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অসম সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ায় তাদের অভিবাদন জানিয়ে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

নেতারা বিবৃতিতে বলেন, হামলা করে রক্ত ঝরিয়ে হতাহত করে অতীতে ছাত্রসমাজ ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যায় নাই, এবারো যাবে না। ছাত্রসমাজ তার অমিত তেজ আর বিপুল প্রাণশক্তি নিয়ে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে দাবি আদায়ে আবারো রাজপথে নেমে এসেছে, তাদের বিজয় অনিবার্য।