ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ। ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা

কোটাবিরোধীদের আনফ্রেন্ড করে দিলেন ঢাবি অধ্যাপক

এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটাকে যারা সমর্থন করেন না তাদের ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ (আ ক ম) জামাল উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) নিজের ফেসবুক আইডিতে থাকা কোটাবিরোধীদের ‘আনফ্রেন্ড’ করার ঘোষণা দেন।

গতকাল দুপুরে এক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন লিখেছেন, আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০% কোটা সমর্থন করেন না, তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। সবাইকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে। অধ্যাপক জামাল উদ্দীনের এ স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে সমালোচনা। আকরাম হোসাইন নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী তার পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের পরিবারের জন্য কোটা কই? তাদের তালিকা বের করে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না?’

এর আগে, গত ৬ জুলাই বর্তমানে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি দেন সংগঠনটির মডারেটর অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। এর প্রতিবাদে সংগঠনটিতে থাকা ২০২১-২২ সেশনের ২২ জন বিতার্কিক একযোগে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া গত ২৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে দলিল তুলে ধরেন অধ্যাপক জামাল।

অধিবেশনে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যের বক্তব্যে তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।’ তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের সমালোচনায় পড়েন প্রফেসর জামাল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

কোটাবিরোধীদের আনফ্রেন্ড করে দিলেন ঢাবি অধ্যাপক

আপডেট সময় ১০:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটাকে যারা সমর্থন করেন না তাদের ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ (আ ক ম) জামাল উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) নিজের ফেসবুক আইডিতে থাকা কোটাবিরোধীদের ‘আনফ্রেন্ড’ করার ঘোষণা দেন।

গতকাল দুপুরে এক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন লিখেছেন, আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০% কোটা সমর্থন করেন না, তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। সবাইকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে। অধ্যাপক জামাল উদ্দীনের এ স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে সমালোচনা। আকরাম হোসাইন নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী তার পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের পরিবারের জন্য কোটা কই? তাদের তালিকা বের করে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না?’

এর আগে, গত ৬ জুলাই বর্তমানে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি দেন সংগঠনটির মডারেটর অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। এর প্রতিবাদে সংগঠনটিতে থাকা ২০২১-২২ সেশনের ২২ জন বিতার্কিক একযোগে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া গত ২৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে দলিল তুলে ধরেন অধ্যাপক জামাল।

অধিবেশনে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যের বক্তব্যে তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।’ তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের সমালোচনায় পড়েন প্রফেসর জামাল।