মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগবাণিজ্যে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এ ঘটনায় একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন- মাদারীপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া দোষ না পাওয়ায় আরেক আসামি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করেছে দুদক।
দুদকের মাদারীপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়ার্টার। পরে ওই বছরের ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়ার্টার জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়।
দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান, এ ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী, মামলার সাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন। দোষ না থাকায় একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে দুদক।