হুজ্জত উল্লাহর বিরুদ্ধে করা এজাহারে বলা হয়, হুজ্জত উল্লাহ পেশায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে ব্যবস্থাপক কর্মরত আছেন। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মো. হুজ্জত উল্লাহর নিজ এবং স্ত্রীর নামে ২ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৮১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৯০ টাকার অস্থাবর সম্পদ বাদ দিলে তার নামে ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে এক কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অন্যদিকে, হুজ্জত উল্লাহর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের বিরুদ্ধে করা এজাহারে বলা হয়, মাহমুদা খাতুনের সম্পদের হিসাব বিবরণী চাওয়ার পর তিনিও ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুদকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায়, মাহমুদা খাতুন স্বামী হুজ্জত উল্লাহ সহায়তায় নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর খাতে মোট এক কোটি ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে ৮৯ লাখ ২২ হাজার ৫২৩ টাকার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেছেন।