রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিতের সঙ্গে একই ক্লাসের শিক্ষার্থী চৌধুরী রাজিন ইকবালের মধ্যে কিছুদিন আগে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে রাজিনের বাবা ইকবালকে ডেকে দুপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেন।
বিষয়টি রাজিন মেনে না নিতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনাটি (ক্যাপ্টেন্সি) নিয়ে সে (রাজিন) গত সপ্তাহে কলেজের বাহিরেও কয়েক দফা ঝগড়ায় লিপ্ত হয় ভিকটিমের সঙ্গে।
এতে কাজ না হওয়ায় মনে মনে পরিকল্পনা করেন জুবায়েরকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য ঘটনার দিন জুবায়েরকে বাসায় ডেকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক রাজিন। কলেজ সূত্র ও জুবায়েরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে এ খুনের ঘটনায় রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহআলী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বাবা-ছেলেসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- চৌধুরী রাজিন ইকবাল, ইকবাল আহম্মেদ চৌধুরী ও অজ্ঞাতরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে কলেজে একটি বিষয় নিয়ে ভিকটিম জুবায়েরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার সহপাঠী বন্ধু রাজিনের। এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসন রাজিনের বাবা ইকবালকে ডেকে দুজনের মধ্যে মীমাংসা করে দেন।
ঘটনার দিন জুবায়ের কমার্স কলেজের সামনে এলে রাজিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জুবায়েরকে ডেকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওতপেতে থাকা মামলার ২ নম্বর ও অজ্ঞাত আসামিরা জুবায়েরকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘাতকদের কোপের আঘাতে ভিকটিমের পুরো শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা পালিয়ে যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ বলেন, জুবায়ের ২-৩ মাস ধরে ক্লাসের ক্যাপ্টেন ছিল। জুবায়ের ও রাজিনের মধ্যে কথা কাটাকাটির কোনো বিষয় নিয়ে কলেজে মীমাংসা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ কাজ করছে।