ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টানা ভারি বর্ষণে টেকনাফে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি অর্ধলাখ মানুষ

কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

বুধবার রাত ৯টার পর থেকে কক্সবাজার জেলায় ভারি থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

তবে উখিয়াতে ছাড়া টেকনাফের কোথাও পাহাড় ধসে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অতিরিক্ত পানির কারণে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টেকনাফের সীমান্ত সড়কের নাফ নদীমুখী কয়েকটি স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় যথাসময়ে পানি প্রবাহিত হতে না পারায় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় জীবন ও ঘরবাড়ি বাঁচাতে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে সীমান্তের বেড়িবাঁধ কেটে পানি বের করে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নদীপাড়ের শত শত ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্র যেতে বলা হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, রাত থেকে ইউনিয়নে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে এলাকার পানিবন্দি বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে গাড়ি ও নৌকাযোগে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছি।

রংগীখালীর স্থানীয় বাসীন্দা মো. ইউনুছ বলেন, রাতে প্রবল বর্ষণের ফলে খাল ও পাহাড়ি ঢলের পানি এসে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে আমরা পানিবন্দি ও ঝুঁকিতে আছি। আমরা সরকারে পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, টেকনাফে প্রধান সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ এবং নদ-নদীর স্লুইস গেট নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ করতে গিয়ে পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

টানা ভারি বর্ষণে টেকনাফে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি অর্ধলাখ মানুষ

আপডেট সময় ১১:৩০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

বুধবার রাত ৯টার পর থেকে কক্সবাজার জেলায় ভারি থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

তবে উখিয়াতে ছাড়া টেকনাফের কোথাও পাহাড় ধসে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অতিরিক্ত পানির কারণে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টেকনাফের সীমান্ত সড়কের নাফ নদীমুখী কয়েকটি স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় যথাসময়ে পানি প্রবাহিত হতে না পারায় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় জীবন ও ঘরবাড়ি বাঁচাতে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে সীমান্তের বেড়িবাঁধ কেটে পানি বের করে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নদীপাড়ের শত শত ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্র যেতে বলা হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, রাত থেকে ইউনিয়নে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে এলাকার পানিবন্দি বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে গাড়ি ও নৌকাযোগে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছি।

রংগীখালীর স্থানীয় বাসীন্দা মো. ইউনুছ বলেন, রাতে প্রবল বর্ষণের ফলে খাল ও পাহাড়ি ঢলের পানি এসে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে আমরা পানিবন্দি ও ঝুঁকিতে আছি। আমরা সরকারে পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, টেকনাফে প্রধান সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ এবং নদ-নদীর স্লুইস গেট নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ করতে গিয়ে পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।