পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মৎস্য কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ড সোনাখালী গ্রামের ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের দায়িত্বে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৫৪০ জনের মৎস্য কার্ডের চাল গ্রহণ করে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বসে বিতরণ করেন।
প্রত্যেক জেলে কার্ডের অনুকূলে ২৫ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলে ও তাহারা বুজে পায় ২০ থেকে ২২ কেজি। এছাড়াও বলেশ্বর নদের উপকূলে বসবাসরত মৎসজীবী যাদের আসল মৎস্য কার্ড রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন কার্ডধারী জেলেকে চাল না দিয়ে আত্মাসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে বিক্ষুব্ধ জেলেরা অনিয়মের বিচার চেয়ে শতাধিক ভুক্তভোগীরা হোগলপাতি বাজারে বিক্ষোভ করেন এবং তারা বলেন বিগত সরকারের আমলাদের কারনে আমরা সঠিক বন্টন থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
৫ আগষ্ট ২৪ সালে সরকারের পদত্যাগের পরে মনে করেছিলাম আমরা সঠিক হিসেব পাবো। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনের কারনে আমরা সেই সঠিক বন্টন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ সরকার সহ সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাল দেয়ার অনিয়মের বিরুদ্ধে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চালের ব্যাপারে আমার দায়িত্ব হিসেবে গোডাউন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নেই। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা যোগসাজশে বিতরন করেন। এখানে আমার কোন হাত ছিল না।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি সম্পর্কে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান, অনিয়মের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।