ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ সাহানাবাগ সিটি এলাকায় ব্যতিক্রমী এক হাট

নওগাঁ শহরের তালতলী রোডের সাহানাবাগ সিটি এলাকায় ব্যতিক্রমী উৎপাদকের হাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। এ বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাই নারী উদ্যোক্তা।

বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী। নারী উদ্যোক্তরা তাদের পণ্য এ বাজারে বিক্রি করতে পেরে সাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন তারা। উৎপাদকের হাট-বাজার গড়ে ওঠায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। রোববার (২৪ নভেম্বর) সরেজমিনে উৎপাদকের হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার আগেই বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজি এবং নানা পণ্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে আসছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে আনেন তারা। মাছ, কাচা সবজির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে শীতের বাহারি রকমের পিঠা। ভোর থেকেই শুরু হচ্ছে কেনাবেচা। এ বাজারে পণ্য ক্রয় করতে আসা ক্রেতা বলেন, পাশেই মাঠ থেকে উৎপাদিত টাটকা পণ্য পাচ্ছি। পাশাপাশি সকালে হাঁটতে এসে বাজারও হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদকের হাট-বাজারে টাটকা শাকসবজির পাশাপাশি মাছ, মাংস পাওয়া যাচ্ছে । বাজারের তুলনায় দাম কিছুটা কম এ বাজারে, ফলে ক্রেতাদের সুবিধা হচ্ছে।

উৎপাদকের হাট বাজারে উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই এলাকায় প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষের বসবাস কিন্তু আশপাশে কোনো বাজার নাই। এখান থেকে বাজারের দূরত্ব প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের বাজারের জন্য অনেক দূরে যেতে হতো। এই বাজারে ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে এনে বিক্রি করছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে এবং উপকৃত হচ্ছে ক্রেতা তথা এলাকাবাসী।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁ সাহানাবাগ সিটি এলাকায় ব্যতিক্রমী এক হাট

আপডেট সময় ১২:২৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

নওগাঁ শহরের তালতলী রোডের সাহানাবাগ সিটি এলাকায় ব্যতিক্রমী উৎপাদকের হাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। এ বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাই নারী উদ্যোক্তা।

বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী। নারী উদ্যোক্তরা তাদের পণ্য এ বাজারে বিক্রি করতে পেরে সাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন তারা। উৎপাদকের হাট-বাজার গড়ে ওঠায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। রোববার (২৪ নভেম্বর) সরেজমিনে উৎপাদকের হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার আগেই বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজি এবং নানা পণ্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে আসছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে আনেন তারা। মাছ, কাচা সবজির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে শীতের বাহারি রকমের পিঠা। ভোর থেকেই শুরু হচ্ছে কেনাবেচা। এ বাজারে পণ্য ক্রয় করতে আসা ক্রেতা বলেন, পাশেই মাঠ থেকে উৎপাদিত টাটকা পণ্য পাচ্ছি। পাশাপাশি সকালে হাঁটতে এসে বাজারও হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদকের হাট-বাজারে টাটকা শাকসবজির পাশাপাশি মাছ, মাংস পাওয়া যাচ্ছে । বাজারের তুলনায় দাম কিছুটা কম এ বাজারে, ফলে ক্রেতাদের সুবিধা হচ্ছে।

উৎপাদকের হাট বাজারে উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই এলাকায় প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষের বসবাস কিন্তু আশপাশে কোনো বাজার নাই। এখান থেকে বাজারের দূরত্ব প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের বাজারের জন্য অনেক দূরে যেতে হতো। এই বাজারে ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে এনে বিক্রি করছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে এবং উপকৃত হচ্ছে ক্রেতা তথা এলাকাবাসী।’