ঝালকাঠির নলছিটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। বুধবার রাতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিন দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুজন খানের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে যুগ্ম আহবায়ক আদিব হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুইপক্ষ উত্তেজিত হলে সদস্য সচিব সুজন খানের ছোটভাই রায়হানকে মারধর করে যুগ্ম আহবায়ক হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একপক্ষ। এ ঘটনার জেরে সুজন খানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের অপরপক্ষ রাতে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রদলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম রনিসহ কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনা জানতে পেরে সাইদুল ইসলাম রনির সঙ্গে যোগ দেয় যুগ্ম আহবায়ক আদিব হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি পক্ষ। তারা হামলা চালায় সুজনের সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর। উভয়পক্ষের তিন দফা সংঘর্ষে নলছিটি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির আহম্মেদ ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিরাসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাব্বিরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুজন খান অভিযোগ করেন, পুরোনো বিরোধের জের ধরে সাইদুল ইসলাম রনি ও আদিব হাসানের নেতৃত্বে তাদের বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাইসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম রনি বলেন, আগে কী হয়েছে তা আমি জানি না। আমি একটি অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাসস্ট্যান্ড আসামাত্রই সুজনের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার শরীরেও ঘুসি মারে এবং হিরাকে মারধর করে।
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু বলেন, আমি শুনেছি মারামারি হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।