ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি সায়ন্তিকার

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই শেষ হলো বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা। সজলকে হারিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে ৮ হাজার ৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।

মঙ্গলবার ভোট গণনার শুরু থেকেই সজল-সায়ন্তিকার মধ্যে লড়াইটা ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনো এগিয়ে যাচ্ছেন সজল তো কখনও সায়ন্তিকা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীই।

এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সায়ন্তিকা। তখন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভালো। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব।’

তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ফল ততই তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে গেছে। ছয় রাউন্ড গণনার পর এগিয়ে যান টলিউড অভিনেত্রী।

এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বাঁকুড়া থেকে দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি সায়ন্তিকা। হারলেও অবশ্য এলাকা ছাড়েননি। রীতিমতো অফিস করে এলাকায় কাজ চালিয়ে গেছেন।

তার ভাষায়, ‘আমি হারতে পছন্দ করি না। মনে হয়, সব কিছু করব, যাতে জেতা যায়। বাঁকুড়ার মানুষ জানেন, বিধায়ক যত কাজ করেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি ওখানে।’

পরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সেই পরিশ্রমেরই ফল পেলেন সায়ন্তিকা। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখবেন অভিনেত্রী।

সায়ন্তিকার বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। জিতলে সজলও প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি সায়ন্তিকার

আপডেট সময় ১০:১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই শেষ হলো বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা। সজলকে হারিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে ৮ হাজার ৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।

মঙ্গলবার ভোট গণনার শুরু থেকেই সজল-সায়ন্তিকার মধ্যে লড়াইটা ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনো এগিয়ে যাচ্ছেন সজল তো কখনও সায়ন্তিকা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীই।

এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সায়ন্তিকা। তখন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভালো। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব।’

তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ফল ততই তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে গেছে। ছয় রাউন্ড গণনার পর এগিয়ে যান টলিউড অভিনেত্রী।

এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বাঁকুড়া থেকে দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি সায়ন্তিকা। হারলেও অবশ্য এলাকা ছাড়েননি। রীতিমতো অফিস করে এলাকায় কাজ চালিয়ে গেছেন।

তার ভাষায়, ‘আমি হারতে পছন্দ করি না। মনে হয়, সব কিছু করব, যাতে জেতা যায়। বাঁকুড়ার মানুষ জানেন, বিধায়ক যত কাজ করেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি ওখানে।’

পরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সেই পরিশ্রমেরই ফল পেলেন সায়ন্তিকা। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখবেন অভিনেত্রী।

সায়ন্তিকার বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। জিতলে সজলও প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতেন।