ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে ভোলায় শীতার্তদের মাঝে কোস্টগার্ডের শীতবস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মাদক সহ কারবারীকে আটক গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তা ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না হওয়ায় কাজ হচ্ছেনা চরম জনদূর্ভোগ: ইসহাক চৌধুরী আলিম ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে শীত বস্ত্র প্রদান করেন রাজশাহীতে আধুনিক প্রযুক্তি চিকিৎসা সেবায় পপুলার আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে:আমিনুল হক ফেসবুক আইডি ফিরে পেলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মনোহরগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবসে ওয়াকাথন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে মুক্ত আড্ডা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি সায়ন্তিকার

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই শেষ হলো বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা। সজলকে হারিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে ৮ হাজার ৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।

মঙ্গলবার ভোট গণনার শুরু থেকেই সজল-সায়ন্তিকার মধ্যে লড়াইটা ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনো এগিয়ে যাচ্ছেন সজল তো কখনও সায়ন্তিকা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীই।

এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সায়ন্তিকা। তখন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভালো। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব।’

তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ফল ততই তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে গেছে। ছয় রাউন্ড গণনার পর এগিয়ে যান টলিউড অভিনেত্রী।

এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বাঁকুড়া থেকে দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি সায়ন্তিকা। হারলেও অবশ্য এলাকা ছাড়েননি। রীতিমতো অফিস করে এলাকায় কাজ চালিয়ে গেছেন।

তার ভাষায়, ‘আমি হারতে পছন্দ করি না। মনে হয়, সব কিছু করব, যাতে জেতা যায়। বাঁকুড়ার মানুষ জানেন, বিধায়ক যত কাজ করেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি ওখানে।’

পরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সেই পরিশ্রমেরই ফল পেলেন সায়ন্তিকা। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখবেন অভিনেত্রী।

সায়ন্তিকার বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। জিতলে সজলও প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি সায়ন্তিকার

আপডেট সময় ১০:১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই শেষ হলো বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা। সজলকে হারিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে ৮ হাজার ৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।

মঙ্গলবার ভোট গণনার শুরু থেকেই সজল-সায়ন্তিকার মধ্যে লড়াইটা ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনো এগিয়ে যাচ্ছেন সজল তো কখনও সায়ন্তিকা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীই।

এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সায়ন্তিকা। তখন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভালো। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব।’

তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ফল ততই তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে গেছে। ছয় রাউন্ড গণনার পর এগিয়ে যান টলিউড অভিনেত্রী।

এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বাঁকুড়া থেকে দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি সায়ন্তিকা। হারলেও অবশ্য এলাকা ছাড়েননি। রীতিমতো অফিস করে এলাকায় কাজ চালিয়ে গেছেন।

তার ভাষায়, ‘আমি হারতে পছন্দ করি না। মনে হয়, সব কিছু করব, যাতে জেতা যায়। বাঁকুড়ার মানুষ জানেন, বিধায়ক যত কাজ করেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি ওখানে।’

পরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সেই পরিশ্রমেরই ফল পেলেন সায়ন্তিকা। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখবেন অভিনেত্রী।

সায়ন্তিকার বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। জিতলে সজলও প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতেন।