সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৯ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই শিশুকে চিকিৎসাসেবা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পরিবারের হেফাজতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর নাম আজগর আলী (২৫)। তিনি উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রতনপুর পূর্বপাড়ার জহুর মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী ও এক শিশুকন্যা রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ভিকটিমের পিতা জানান, তার ৯ বছরের শিশুকন্যা মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের সামনের সড়কে খেলাধুলা করছিল। আজগর গ্রামের মুদি দোকান থেকে কিছু একটা কিনে এনে দেওয়ার কথা বলে শিশুকন্যাকে তার বসতঘরের দরজার সামনে ডেকে নেয়। এরপর হাতে ৩০ টাকা গুঁজে দিয়ে জোরপূর্বক ওই শিশুকন্যাকে তার ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই শিশুকন্যার পরিবারকে আইনি সহায়তা না নিতে এমনকি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ না করতে বাধা সৃষ্টি করে। সালিশে ধর্ষণের বিষয়টি সমাধানের জন্য ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
ভিকটিমের পিতা আরও জানান, আমি গোপনে আমার শিশুকন্যাকে নিয়ে রাতে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশকে জানাতে গেলে পুলিশ আমাকে ডাক্তারি সনদপত্র নিয়ে এসে থানায় অভিযোগ করতে বলে। এরপর আমি আমার হেফাজতেই আমার শিশুকন্যাকে নিয়ে রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতার পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানতে পেরে উনাকে প্রথমে ভিকটিমকে হাসপাতালের (ওসিসিসিতে) নিয়ে যেতে বলেছি।