ছদ্মনামের শারমিন সুমাইয়া ও তাকিয়া খানম ফেসবুকে প্রেমিকা সেজে ভিকটিমদের প্রেমের ছলনায় ডেকে এনে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে কারাগারে ঠিকানা হয়েছে অপহরণকারী ৫ জনের।
প্রেমিকা শারমিন সুমাইয়া ওরফে তাকিয়া খানমসহ চক্রের অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের মাঝুখান ও পদ হারবাইদ এলাকায় ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে অপহরণকারী চক্র।
অপহরণকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ভিকটিম যুবক টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার রাশেদুল ইসলাম লায়ন ও ঢাকা শেরেবাংলা এলাকার শাহিন হাসান অন্তর বাদী হয়ে পূবাইল থানায় মামলা করলে রোববার ৫ জনকে গ্রেফতার করে পূবাইল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মহানগরের ৪২নং ওয়ার্ডের পদ হারবাইদ এলাকার জুয়েলের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম হিমেল (২৬), একই এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে শামীম (৩০), মো. শহিদের ছেলে রুবাইয়েত, সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার চামারচর গ্রামের আইনুরের ছেলে মোহাম্মদ রানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার ইউসুফ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মারুফ (২২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শারমিন সুমাইয়া ওরফে তাকিয়া খানম (১৯) একই মেয়ে দুই নামে ফেসবুকে প্রেমিকা সেজে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই যুবককে। প্রেমের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতম হলে ২৭ এপ্রিল দেখা করার কথা বলে। শাহিন হাসান অন্তর পূবাইলের মাজুখান এলে তাকে পূবাইল এলাকার ৪২নং ওয়ার্ডের পদ হারবাইদে অবস্থানরত অপহরণকারী চক্রের হাতে তুলে দেন।
একই কায়দায় শারমিন নামে ওই প্রেমিকা তাকিয়া খানম ২য় প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম লায়নকেও ১ মে তুলে দেন তাদের হাতে।
অপহরণের পর দুই যুবকের বাসায় ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ও শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমের দুই পরিবারের কাছ থেকে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৯৯ হাজার টাকা ও ভিকটিমদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও পেনড্রাইভ রেখে দিয়ে পদ হারবাইদ এলাকার মনিরের দোকানের কাছে ও মাজুখান রেললাইনের পাশে আহত অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
ছলনাকারী প্রেমিকা পেশাদার ফেসবুক প্রেমিকা হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার ফেসবুক প্রেমিকদের বিভিন্ন ঠিকানায় এনে অপহরণ করে সর্বস্ব কেড়ে নেয় বলে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
পূবাইল থানার ওসি কামারুজ্জামান জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩টি নিয়মিত মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।