মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় উল্লাপাড়ার চারটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে- বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা।
বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দেন ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ এবং বড় কোয়ালীবের মাদ্রাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন, উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন একজন।
এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। অভিভাবকদের বারবার বিষয়টি জানলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদ্রাসার দুর্নাম কুড়ালো। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত।
বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান, তার মাদ্রাসায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পড়ে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।
বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শফিক উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করার ফলেই এ অবস্থা। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক জানান, শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানো হবে। এছাড়া ফেল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।