ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

উল্লাপাড়ায় ৪ মাদ্রাসায় কেউ পাশ করেনি, ৩টিতে ১ জন করে উত্তীর্ণ

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় উল্লাপাড়ার চারটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে- বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দেন ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ এবং বড় কোয়ালীবের মাদ্রাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন, উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন একজন।

এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। অভিভাবকদের বারবার বিষয়টি জানলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদ্রাসার দুর্নাম কুড়ালো। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান, তার মাদ্রাসায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পড়ে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শফিক উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করার ফলেই এ অবস্থা। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক জানান, শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানো হবে। এছাড়া ফেল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

উল্লাপাড়ায় ৪ মাদ্রাসায় কেউ পাশ করেনি, ৩টিতে ১ জন করে উত্তীর্ণ

আপডেট সময় ১০:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় উল্লাপাড়ার চারটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে- বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দেন ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ এবং বড় কোয়ালীবের মাদ্রাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন, উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন একজন।

এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। অভিভাবকদের বারবার বিষয়টি জানলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদ্রাসার দুর্নাম কুড়ালো। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান, তার মাদ্রাসায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পড়ে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শফিক উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করার ফলেই এ অবস্থা। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক জানান, শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানো হবে। এছাড়া ফেল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।