ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিশকান্ডের হোতা ২য় দরদাতাকে কয়েককোটি টাকার বিনিময়ে পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ দেওয়ার অভিযোগ

গণপুর্ত বিভাগের অঘোষিত সম্রাট রুপপুর বালিশকান্ডের মুল হোতা সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: এর কর্ণধার শাহাদত হোসেনের টাকার কাছে বিক্রি গণপূর্ত স্থাণীয় নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী।

শাহাদতের ইশারাই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: কে একের পর এক কাজ পাইয়ে দিচ্ছে গণপূর্ত বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিরা। শুধু তাই না, সর্বনিম্ন দরদাতাকেও কৌশলে সড়িয়ে সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এমনি এক তথ্য এসেছে আমাদের এই প্রতিনিধির কাছে। নির্বাহী প্রকৌশলীসহ প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লেখা অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ পাবনা মেডিকেল কলেজের ডক্টরস ডরমেটরি নির্মানের জন্য একটি দরপত্র ওপেন করা হয়। যার আইডি নং ৯৪৯৭২৫। দরপত্র ওপেন করা হলে মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন সাজিন কনষ্ট্রাকশন ও তৃতীয় দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন হাসান এন্ড সন্স লি:।

২য় দরদাতা হিসাবে শাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: এর নাম আসা মাত্র শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্র। এরই অংশ হিসাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কে ইজিপি পোর্টালে ডিবার দেখানো হয়। যদিও ডিবার দেখানোর কারন সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি টেন্ডার নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারনে। মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স (প্রা:) লি: গণপূর্ত বিভাগের কোন কাজে ডিবার হয়নি। মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: প্রতিষ্ঠানের কর্নধার বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে ইজিপি থেকে ডিবার প্রতাহারের নির্দেশ প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এর বিচারকের নির্দেশে ডিবার প্রত্যাহার করেন কর্তৃপক্ষ। এরপরেও পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ডিবার দেখিয়ে ২য় দরদাতা প্রতিষ্ঠান সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: কে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলী বরাবর প্রস্তাব প্রেরন করেন। বিষয়টি জানার পর মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কর্ণধার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে টেন্ডারের মুল্যমান পুন:বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া গত ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: এর কোথাও ডিবার ছিলো না।

যখন একুশ থেকে ত্রিশ তারিখ ডিবার ছিল না তখন পুনরায় মূল্যায়ন দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রধান প্রকৌশলী টেন্ডারটি আটকে রেখে কুচক্রী মহলের সমন্বয়ে সে পুনরায় মূল্যায়ন না করে অনুমোদন দেয়। এদিকে উক্ত দপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপূর্ত বিভাগের একটি টেন্ডার মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কে গত ২৫/০৪/২৪ অনুমোদন দেয়। যাহার টেন্ডার আইডি নং-৮৮৫৪৩৫ এবং অন্য দপ্তরের ও ২৫/০৪/২৪ ,২৬,২৭,২৮ ,২৯ ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের অনেকে নোহা পায়।

এরমধ্যে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত টেন্ডারের মুল্যায়ন প্রক্রিয়াটি নতুন করে দেওয়া সম্ভব ছিলো। কুচুক্রি মহল সেটা না করে সিপিটিইউসহ বিভিন্ন যায়গায় প্রভাব বিস্তার করে গত ১মে এলজিইডির একটি তুচ্ছ ঘটনায় মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: এর বিপক্ষে আবারও ডিবারকে ইজিপি পোর্টালে আপলোড করে। অন্যায়ভাবে ইজিপি পোর্টালে ডিবার আপলোড করায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানটি হাইকোট বিভাগের রিট পিটিশন দায়ের করে। পরে ৬মে মহামাণ্য হাইকোর্ট বিভাগ এলজিইডির ডিবার অপসারনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরমধ্যে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এ ঘটনায় সরকারের রাজস্বখাতে ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীসহ কতিপয় কর্মকর্তা কয়েককোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ঠিকাদারের পক্ষে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। কারন হিসাবে জানান, আমরা কোন অভিযোগ করলেই গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। কারন সাজিন কনষ্ট্রাকশনের কর্নধার শাহাদত এর টাকায় সবার মুখ বন্ধ। সাজিন কনষ্ট্রাকশনের কর্নধারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান থাকা সত্বেও গণপুর্ত বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিরা একের পর এক সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দিচ্ছে। কেউ ১ম লোয়েষ্ট হলেও যে কোন কারন দেখিয়ে ১ম লোয়েষ্টকে বাতিল করে সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দেয়া হচ্ছে। আর এ সুযোগে সাজিন কনষ্ট্রাকশন নিম্মমানের কাজ সম্পন্ন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে উপহার হিসাবে প্রদান করছে। এতে করে নির্মানাধীন স্থাপনাগুলো ঝুকির মধ্যে পড়ছে। পাবনার সচেতন মহল মনে করেন, সাজিন কনষ্ট্রাকশনের নির্মানকৃত ভবনগুলো বুয়েটের মাধ্যমে পরিক্ষা করে, তারপর ছাড়পত্র দেওয়া হোক।
২য় দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার বিষয়ে গণপুর্ত বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে মোবাইলে ফোন করা হলে তা তিনি রিসিভ করেননি। এরপর প্রধান প্রকৌশলীর কাছে মোবাইলে ফোন করা হলে, তিনিও মোবাইল রিসিভ করেননি। এরপর পাবনা সার্কেল গণপূর্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার আজিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন। সর্বনিম্ন দরদাতা মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি:কে কার্যাদেশ না দিয়ে ২য় দরদাতা সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ডিবার থাকার কারনে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রূপপুর বালিশকান্ডের ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেন্ডিকেট করে দেশের বেশিরভাগ গণপূর্ত অফিসের কাজ করে যাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বালিশকান্ডের হোতা ২য় দরদাতাকে কয়েককোটি টাকার বিনিময়ে পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

গণপুর্ত বিভাগের অঘোষিত সম্রাট রুপপুর বালিশকান্ডের মুল হোতা সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: এর কর্ণধার শাহাদত হোসেনের টাকার কাছে বিক্রি গণপূর্ত স্থাণীয় নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী।

শাহাদতের ইশারাই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: কে একের পর এক কাজ পাইয়ে দিচ্ছে গণপূর্ত বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিরা। শুধু তাই না, সর্বনিম্ন দরদাতাকেও কৌশলে সড়িয়ে সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এমনি এক তথ্য এসেছে আমাদের এই প্রতিনিধির কাছে। নির্বাহী প্রকৌশলীসহ প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লেখা অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ পাবনা মেডিকেল কলেজের ডক্টরস ডরমেটরি নির্মানের জন্য একটি দরপত্র ওপেন করা হয়। যার আইডি নং ৯৪৯৭২৫। দরপত্র ওপেন করা হলে মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন সাজিন কনষ্ট্রাকশন ও তৃতীয় দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন হাসান এন্ড সন্স লি:।

২য় দরদাতা হিসাবে শাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: এর নাম আসা মাত্র শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্র। এরই অংশ হিসাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কে ইজিপি পোর্টালে ডিবার দেখানো হয়। যদিও ডিবার দেখানোর কারন সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি টেন্ডার নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারনে। মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স (প্রা:) লি: গণপূর্ত বিভাগের কোন কাজে ডিবার হয়নি। মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: প্রতিষ্ঠানের কর্নধার বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে ইজিপি থেকে ডিবার প্রতাহারের নির্দেশ প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এর বিচারকের নির্দেশে ডিবার প্রত্যাহার করেন কর্তৃপক্ষ। এরপরেও পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ডিবার দেখিয়ে ২য় দরদাতা প্রতিষ্ঠান সাজিন কনষ্ট্রাকশন লি: কে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলী বরাবর প্রস্তাব প্রেরন করেন। বিষয়টি জানার পর মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কর্ণধার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে টেন্ডারের মুল্যমান পুন:বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া গত ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: এর কোথাও ডিবার ছিলো না।

যখন একুশ থেকে ত্রিশ তারিখ ডিবার ছিল না তখন পুনরায় মূল্যায়ন দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রধান প্রকৌশলী টেন্ডারটি আটকে রেখে কুচক্রী মহলের সমন্বয়ে সে পুনরায় মূল্যায়ন না করে অনুমোদন দেয়। এদিকে উক্ত দপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপূর্ত বিভাগের একটি টেন্ডার মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: কে গত ২৫/০৪/২৪ অনুমোদন দেয়। যাহার টেন্ডার আইডি নং-৮৮৫৪৩৫ এবং অন্য দপ্তরের ও ২৫/০৪/২৪ ,২৬,২৭,২৮ ,২৯ ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের অনেকে নোহা পায়।

এরমধ্যে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত টেন্ডারের মুল্যায়ন প্রক্রিয়াটি নতুন করে দেওয়া সম্ভব ছিলো। কুচুক্রি মহল সেটা না করে সিপিটিইউসহ বিভিন্ন যায়গায় প্রভাব বিস্তার করে গত ১মে এলজিইডির একটি তুচ্ছ ঘটনায় মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি: এর বিপক্ষে আবারও ডিবারকে ইজিপি পোর্টালে আপলোড করে। অন্যায়ভাবে ইজিপি পোর্টালে ডিবার আপলোড করায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানটি হাইকোট বিভাগের রিট পিটিশন দায়ের করে। পরে ৬মে মহামাণ্য হাইকোর্ট বিভাগ এলজিইডির ডিবার অপসারনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরমধ্যে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এ ঘটনায় সরকারের রাজস্বখাতে ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীসহ কতিপয় কর্মকর্তা কয়েককোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ঠিকাদারের পক্ষে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। কারন হিসাবে জানান, আমরা কোন অভিযোগ করলেই গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। কারন সাজিন কনষ্ট্রাকশনের কর্নধার শাহাদত এর টাকায় সবার মুখ বন্ধ। সাজিন কনষ্ট্রাকশনের কর্নধারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান থাকা সত্বেও গণপুর্ত বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিরা একের পর এক সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দিচ্ছে। কেউ ১ম লোয়েষ্ট হলেও যে কোন কারন দেখিয়ে ১ম লোয়েষ্টকে বাতিল করে সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কাজ দেয়া হচ্ছে। আর এ সুযোগে সাজিন কনষ্ট্রাকশন নিম্মমানের কাজ সম্পন্ন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে উপহার হিসাবে প্রদান করছে। এতে করে নির্মানাধীন স্থাপনাগুলো ঝুকির মধ্যে পড়ছে। পাবনার সচেতন মহল মনে করেন, সাজিন কনষ্ট্রাকশনের নির্মানকৃত ভবনগুলো বুয়েটের মাধ্যমে পরিক্ষা করে, তারপর ছাড়পত্র দেওয়া হোক।
২য় দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার বিষয়ে গণপুর্ত বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে মোবাইলে ফোন করা হলে তা তিনি রিসিভ করেননি। এরপর প্রধান প্রকৌশলীর কাছে মোবাইলে ফোন করা হলে, তিনিও মোবাইল রিসিভ করেননি। এরপর পাবনা সার্কেল গণপূর্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার আজিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন। সর্বনিম্ন দরদাতা মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স(প্রা:)লি:কে কার্যাদেশ না দিয়ে ২য় দরদাতা সাজিন কনষ্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ডিবার থাকার কারনে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রূপপুর বালিশকান্ডের ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেন্ডিকেট করে দেশের বেশিরভাগ গণপূর্ত অফিসের কাজ করে যাচ্ছে।