গত ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১(০২)১৪, জিআর নং-১৪/১৪, নারী ও শিশু মামলা নং- ৬৫২/১৪, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১)/৩০। উক্ত মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি রমজান আলী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনামে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন ওয়াসার মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০৯ মে ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৫৩০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি রমজান আলী বাপ্পী (৩০), পিতা-ছালেহ আহম্মদ @ ফটিক, সাং-বামন সুন্দর, থানা- জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়,সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।