আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক আটটার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যার ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত সাজিদ মৃধা (১৮) এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।সাজিদ আমিরাবাদ গ্রামের শহীদ মৃধার ছেলে। নিহত মৌসুমী আক্তার কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।কনকদিয়া ইউপির (৩নং ওয়ার্ড) আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিজান হাওলাদার এর মেয়ে মৌসুমী।
যানা গেছে,নিহত মৌসুমীর সাথে অভিযুক্ত সাজিদ মৃধার দীর্ঘ তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলা।বাড়িতে সচারাচর আসা-যাওয়া করতেন সাজিদ মৃধা। দীর্ঘদিন সম্পর্ক কেন্দ্র করে মৌসুমী পারিবারিক সমস্যার কারনে সাজিদ মৃধাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাজিদ রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে আজ শনিবার সকাল আনুমানিক আটটার দিকে নিজ বসতঘরে বিষপানে আত্মহত্যা করেন মৌসুমী এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে।
পরিবার সুত্রে যানা যায়,মৌসুমীর সাথে সাজিদের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।সাজিদ সচারাচর আসা-যাওয়া করতেন এবং একপর্যায়ে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) মৌসুমীর মা ছালেয়া বেগম প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজের ব্যস্ততায় থাকে এবং মেয়েকে সংসারের কাজে ডাক দিলে মেয়ে মৌসুমী ডাকের কোন সারা দেয়নি।পরে ছালেয়া বেগম ঘরের মধ্যে গেলে ঘরের পিছনে বারান্দায় খাটের ওপর সকলের অগোচরে বিষাক্ত ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।পরে স্বজনরা অসুস্থ অবস্থায় দ্রুত বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কিন্তু, এম্বুলেন্সে উঠানোর আগেই ভিকটিম মৌসুমী আক্তার মারা যায়।