বিএনপির রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই আলোচিত দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন। দ্বাদশ নির্বাচনের আগমুহূর্তে তিনি ছিলেন বেশ আলোচিত। সম্প্রতি ২১ মাসের সাজা মাথায় নিয়ে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। তার পর ৫ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিনও পান মেজর হাফিজ।
দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।
এ সময় মামলার প্রসঙ্গ উঠে এলে মেজর হাফিজ বলেন, আমি নাকি জনতা ব্যাংকের স্টাফ বাস পুড়িয়েছি। এ জন্য আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যারা আমাকে এই শাস্তিটি দিয়েছেন আশা করি তারা একদিন লজ্জিত হবেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গুঞ্জন উঠে— আপনার ওপর অনেক চাপ ও প্রলোভন ছিল?
জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, প্রলোভন ছিল না, তবে বন্ধুবান্ধবের চাপ ছিল। বিশেষ করে সেসব বন্ধুর, যারা সামরিক বাহিনীর সদস্য বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী। যাদের সঙ্গে একসঙ্গে পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে একসময় ছিলাম, তারা আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তারা বিভিন্ন অনুরোধও করেছিলেন।
ক্ষমতাসীন মহল থেকে কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে, আমি হয়তো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দেব বা নতুন দল গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রেখে বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়া মেজর হাফিজ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জানে, আমি যদি বিএনপি ছাড়ি, দলের অনেকে আমার সঙ্গী হতে পারে। বিএনপিরও কিছু কিছু এমপি আছেন, যারা দলে অবমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা আমাকে অনেকে অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তবে আমি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইনি। এখনো চাই না। আমি বিএনপি করি, বিএনপি করেই যাব।