ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

আফসোস হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর

হিসাব এলোমেলো হয়েছে ব্যাটিংয়েই। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে ৭০, সেখানে পরের ১০ ওভারে কি না ৫৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তারপর আর কিছুই করা হয়নি। শুধু সঙ্গী হয়েছে ৫ উইকেটের হার। বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সেমি-ফাইনালে পা রাখল পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষে রোববার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে শুধু আক্ষেপই ঝরল নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। বাংলাদেশের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান মনে করেন— আরও কিছু রান পেলে ম্যাচের দৃশ্যপটটা ভিন্নও হতে পারতো।

নাজমুল হোসেন শান্ত এনিয়ে আক্ষেপ করলেন। বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় উইকেটটা আজকে ১৪০ বা ১৫০ রানের ওরকমই ছিল। আমরা বুঝছিলাম যে আমার শেষ করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল…যেটা আমি করতে পারিনি। ওই জন্য একটু আফসোস লাগছে। কিন্তু তারপরেও আমি বলবো যে শেষের যে ব্যাটসম্যানরা ছিল, তারা আরেকটু যদি ভাল করতে পারতেন, তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতো।’   শান্ত মনে করেন, গোটা দলটাই ব্যাটিংয়ে ফ্লপ। আলাদা করে কারও কথা বলতে রাজি নন ফর্মে ফেরা এই ব্যাটসম্যান।

এই বাঁহাতি ওপেনার বলছিলেন, ‘না আমার মনে হয় লোয়ার মিডল অর্ডার বলে কোনো কথা নেই। পুরো দল হিসেবে ভালো খেলিনি, আর যে দুটি ম্যাচে জিতেছি সেগুলোতে আমরা পুরো দল হিসেবে ভালো খেলছি। লোয়ার মিডল অর্ডার বা মিডল অর্ডার বা ওপেনার মানে এটা সবারই দায়িত্ব যে ভাল করা। তাই আমরা দল হিসেবে হয়তো আজকের ম্যাচটা ভালো করতে পারিনি।’

জয়ের একটা সংকল্প নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হয়নি। শতভাগ দিয়েও যখন সাফল্য মিলল না তখন তো হতাশা ছুঁতেই পারে নাজমুল হোসেন শান্তদের।   বিশ্বকাপ মিশন শেষে বিমর্ষ শান্ত বলছিলেন, ‘দেখুন, সবাই জিততে চায়। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং আমরা সবাই  জিততে চেয়েছি। এই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সবাই শতভাগ চেষ্টা করেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। কিন্তু সবাই আমার মনে হয় মন থেকেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

চেষ্টা করলেও বাস্তবতার ছোঁয়া মেলেনি। শেষের ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেনি। তাই সাজানো মঞ্চে শুধুই হতাশা সঙ্গী হলো। সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়ের পর সমীকরণটা সহজ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ভরাডুবিতে হলো না। সুপার টুয়েলভের দুটি জয় নিয়েই এবার দেশে ফেরার পালা সাকিব আল হাসানদের! তবে তৃপ্তি একটা আছেই, এবার প্রথম মূল পর্বে দুটি জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ একটা বড় দলকে হারাতে পারলে স্বপ্নের সেমির দরজাও খুলে যেতে পারত!

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

আফসোস হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

হিসাব এলোমেলো হয়েছে ব্যাটিংয়েই। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে ৭০, সেখানে পরের ১০ ওভারে কি না ৫৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তারপর আর কিছুই করা হয়নি। শুধু সঙ্গী হয়েছে ৫ উইকেটের হার। বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সেমি-ফাইনালে পা রাখল পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষে রোববার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে শুধু আক্ষেপই ঝরল নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। বাংলাদেশের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান মনে করেন— আরও কিছু রান পেলে ম্যাচের দৃশ্যপটটা ভিন্নও হতে পারতো।

নাজমুল হোসেন শান্ত এনিয়ে আক্ষেপ করলেন। বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় উইকেটটা আজকে ১৪০ বা ১৫০ রানের ওরকমই ছিল। আমরা বুঝছিলাম যে আমার শেষ করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল…যেটা আমি করতে পারিনি। ওই জন্য একটু আফসোস লাগছে। কিন্তু তারপরেও আমি বলবো যে শেষের যে ব্যাটসম্যানরা ছিল, তারা আরেকটু যদি ভাল করতে পারতেন, তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতো।’   শান্ত মনে করেন, গোটা দলটাই ব্যাটিংয়ে ফ্লপ। আলাদা করে কারও কথা বলতে রাজি নন ফর্মে ফেরা এই ব্যাটসম্যান।

এই বাঁহাতি ওপেনার বলছিলেন, ‘না আমার মনে হয় লোয়ার মিডল অর্ডার বলে কোনো কথা নেই। পুরো দল হিসেবে ভালো খেলিনি, আর যে দুটি ম্যাচে জিতেছি সেগুলোতে আমরা পুরো দল হিসেবে ভালো খেলছি। লোয়ার মিডল অর্ডার বা মিডল অর্ডার বা ওপেনার মানে এটা সবারই দায়িত্ব যে ভাল করা। তাই আমরা দল হিসেবে হয়তো আজকের ম্যাচটা ভালো করতে পারিনি।’

জয়ের একটা সংকল্প নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হয়নি। শতভাগ দিয়েও যখন সাফল্য মিলল না তখন তো হতাশা ছুঁতেই পারে নাজমুল হোসেন শান্তদের।   বিশ্বকাপ মিশন শেষে বিমর্ষ শান্ত বলছিলেন, ‘দেখুন, সবাই জিততে চায়। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং আমরা সবাই  জিততে চেয়েছি। এই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সবাই শতভাগ চেষ্টা করেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। কিন্তু সবাই আমার মনে হয় মন থেকেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

চেষ্টা করলেও বাস্তবতার ছোঁয়া মেলেনি। শেষের ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেনি। তাই সাজানো মঞ্চে শুধুই হতাশা সঙ্গী হলো। সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়ের পর সমীকরণটা সহজ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ভরাডুবিতে হলো না। সুপার টুয়েলভের দুটি জয় নিয়েই এবার দেশে ফেরার পালা সাকিব আল হাসানদের! তবে তৃপ্তি একটা আছেই, এবার প্রথম মূল পর্বে দুটি জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ একটা বড় দলকে হারাতে পারলে স্বপ্নের সেমির দরজাও খুলে যেতে পারত!