ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হরতাল-অবরোধকারীরাই ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : ডিএমপি কমিশনার

যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে, তারাই তেজগাঁওয়ে রেলে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধকারীরা আগেও নাশকতা ঘটিয়েছে। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল। গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি।

হরতাল-অবরোধকারীরাই ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : ডিএমপি কমিশনার
বিমানবন্দর থেকে আগুন নিয়েই তেজগাঁও আসে ট্রেন
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের (বিএনপি) নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই নাশকতা করতে বাধ্য হয়েছে।

দেশ থেকে এ ধরনের নির্দেশনা না কি দেশের বাইরে থেকে আসছে, এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজা করানো হচ্ছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

ট্রেনের ভেতর যাত্রীবেশে যারা ছিল, তারাই আগুন দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ট্রেনের একটি সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

আগুনে একজনকে আহত রোগীর বিবরণ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। সে (আহত ব্যক্তি) দেখেছে সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কেউ জানালা দিয়ে কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় ভোর থাকায় অনেকে যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। একজন মা নাদিরা আক্তার পপি যার তিন বছরের শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

হরতাল-অবরোধকারীরাই ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় ০৩:৩২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে, তারাই তেজগাঁওয়ে রেলে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধকারীরা আগেও নাশকতা ঘটিয়েছে। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল। গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি।

হরতাল-অবরোধকারীরাই ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : ডিএমপি কমিশনার
বিমানবন্দর থেকে আগুন নিয়েই তেজগাঁও আসে ট্রেন
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের (বিএনপি) নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই নাশকতা করতে বাধ্য হয়েছে।

দেশ থেকে এ ধরনের নির্দেশনা না কি দেশের বাইরে থেকে আসছে, এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজা করানো হচ্ছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

ট্রেনের ভেতর যাত্রীবেশে যারা ছিল, তারাই আগুন দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ট্রেনের একটি সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

আগুনে একজনকে আহত রোগীর বিবরণ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। সে (আহত ব্যক্তি) দেখেছে সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কেউ জানালা দিয়ে কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় ভোর থাকায় অনেকে যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। একজন মা নাদিরা আক্তার পপি যার তিন বছরের শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিল।