রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন বলেছেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে মানবাধিকার শেখাতে না আসে৷ প্রয়োজনে বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে৷ গাজার নৃশংস ঘটনায় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চুপ,অথচ সারা বিশ্বে তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে৷
মাননীয় রাষ্ট্রপতি যদি ব্যবস্থা করে দেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চান,তাহলে আমাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় পরিচালক ও সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রধান কার্যালয় সমস্ত ব্যবস্থা করবেন এবং প্রশিক্ষণ দিবেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি, মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য,তাই যুক্তরাষ্ট্রকে রাষ্ট্রপতি অনুরোধ জানান,এই খাতে বাংলাদেশকে শিক্ষা না দিতে,কারণ মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য নজির গড়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন,দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে,সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমরা সচেতন হয়েছি বলেই,তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) শিক্ষা দিতে চাই,মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছে বাংলাদেশ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে মানবাধিকার শেখাতে না আসে৷ প্রয়োজনে বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে৷ ফিলিস্তিনির গাজায় নৃশংস ঘটনায় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চুপ,অথচ সারা বিশ্বে তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে,জাতিসংঘ যখন গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিল, তখন তারা ভেটো দিল,তারা যেন আর মানবাধিকার শেখায় না,তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে।
এসময়,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো গণহত্যার স্বীকৃতিও দাবি করেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন,অনুষ্ঠানে আপামর মানুষের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিতকরণসহ এ ইস্যুর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন,এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।