ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

দীর্ঘদিন স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ছোট্ট ১ ছেলে সন্তান ও শ্বশুর শাশুড়ী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী পলি বেগম। মানুষের কাছে হাত পেতে বা এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পরিবারের পেটে জুটছে কিছু ডাল ভাত, তবে হচ্ছে না অসুস্থ স্বামীর ঠিকমতো চিকিৎসা।

অসুস্থ জলিল হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউপির (৯নং ওয়ার্ড) কৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিনুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। কৌখালী বাজারে একটা ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে চলতো তাদের সংসার জীবনজীবিকা। বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়

দীর্ঘ ৪/৫ বছর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে ধরা পড়ে জলিল হাওলাদারের দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত। এরপর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। মোটামুটি সয়সম্ভল থাকলেও তা স্বামীর চিকিৎসায় খরচ করেছেন।

দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে এভাবেই মানুষের সাহায্যের টাকায় ও স্ত্রী পলি বেগম সেই ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছে কোনো রকমে। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা বলেছেন, জলিল হাওলাদারের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পলি বেগমের। তার ওপর সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়েগেছে, দিনদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

বৃদ্ধ বাবা আমিনুদ্দীন বলেন, আমার ছেলেটা জন্য সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেটাকে বাঁচান, আমার ছেলেটার পরিবারকে বাঁচান।

স্ত্রী পলি বেগম বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তাতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তা এখন আর ঠিকমতো পারছিনা। আমি চারপাশে শুধু অন্ধকার দেখছি। আলো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি সরকার ও প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবান-হৃদয়বান ব্যক্তিদের ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। যদি আমার এই কষ্টের সময় কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আমি মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত পেতে দোয়া করবো। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (বিকাশ ও নগদ- (স্ত্রী পলি বেগম) ০১৭৭১৩৮৬১৪১ এবং যোগাযোগ- (আত্মীয়) ০১৭৩৭৮০৪২২৪)।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

আপডেট সময় ০১:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘদিন স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ছোট্ট ১ ছেলে সন্তান ও শ্বশুর শাশুড়ী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী পলি বেগম। মানুষের কাছে হাত পেতে বা এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পরিবারের পেটে জুটছে কিছু ডাল ভাত, তবে হচ্ছে না অসুস্থ স্বামীর ঠিকমতো চিকিৎসা।

অসুস্থ জলিল হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউপির (৯নং ওয়ার্ড) কৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিনুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। কৌখালী বাজারে একটা ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে চলতো তাদের সংসার জীবনজীবিকা। বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়

দীর্ঘ ৪/৫ বছর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে ধরা পড়ে জলিল হাওলাদারের দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত। এরপর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। মোটামুটি সয়সম্ভল থাকলেও তা স্বামীর চিকিৎসায় খরচ করেছেন।

দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে এভাবেই মানুষের সাহায্যের টাকায় ও স্ত্রী পলি বেগম সেই ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছে কোনো রকমে। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা বলেছেন, জলিল হাওলাদারের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পলি বেগমের। তার ওপর সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়েগেছে, দিনদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

বৃদ্ধ বাবা আমিনুদ্দীন বলেন, আমার ছেলেটা জন্য সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেটাকে বাঁচান, আমার ছেলেটার পরিবারকে বাঁচান।

স্ত্রী পলি বেগম বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তাতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তা এখন আর ঠিকমতো পারছিনা। আমি চারপাশে শুধু অন্ধকার দেখছি। আলো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি সরকার ও প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবান-হৃদয়বান ব্যক্তিদের ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। যদি আমার এই কষ্টের সময় কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আমি মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত পেতে দোয়া করবো। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (বিকাশ ও নগদ- (স্ত্রী পলি বেগম) ০১৭৭১৩৮৬১৪১ এবং যোগাযোগ- (আত্মীয়) ০১৭৩৭৮০৪২২৪)।