ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান ৭শ’টি নৌকা জব্দ যৌথ বাহিনী কর্তৃক অবৈধ অস্ত্র এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী উদ্ধার অভিযান লক্ষ্মীপুর রামগতি রুটে মাইশা পরিবহনে গ্যাস দেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩ আহত ২০ জনের ও অধিক। জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের ৩৫, নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের। নাটোরের বড়াইগ্রাম, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা কারণে, ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে কুমিল্লায় ‌প্রতিমা বিসর্জ‌নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দূ‌র্গোৎসব ওজাবের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিলো পাষন্ড বাবা

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

দীর্ঘদিন স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ছোট্ট ১ ছেলে সন্তান ও শ্বশুর শাশুড়ী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী পলি বেগম। মানুষের কাছে হাত পেতে বা এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পরিবারের পেটে জুটছে কিছু ডাল ভাত, তবে হচ্ছে না অসুস্থ স্বামীর ঠিকমতো চিকিৎসা।

অসুস্থ জলিল হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউপির (৯নং ওয়ার্ড) কৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিনুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। কৌখালী বাজারে একটা ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে চলতো তাদের সংসার জীবনজীবিকা। বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়

দীর্ঘ ৪/৫ বছর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে ধরা পড়ে জলিল হাওলাদারের দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত। এরপর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। মোটামুটি সয়সম্ভল থাকলেও তা স্বামীর চিকিৎসায় খরচ করেছেন।

দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে এভাবেই মানুষের সাহায্যের টাকায় ও স্ত্রী পলি বেগম সেই ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছে কোনো রকমে। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা বলেছেন, জলিল হাওলাদারের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পলি বেগমের। তার ওপর সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়েগেছে, দিনদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

বৃদ্ধ বাবা আমিনুদ্দীন বলেন, আমার ছেলেটা জন্য সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেটাকে বাঁচান, আমার ছেলেটার পরিবারকে বাঁচান।

স্ত্রী পলি বেগম বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তাতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তা এখন আর ঠিকমতো পারছিনা। আমি চারপাশে শুধু অন্ধকার দেখছি। আলো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি সরকার ও প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবান-হৃদয়বান ব্যক্তিদের ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। যদি আমার এই কষ্টের সময় কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আমি মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত পেতে দোয়া করবো। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (বিকাশ ও নগদ- (স্ত্রী পলি বেগম) ০১৭৭১৩৮৬১৪১ এবং যোগাযোগ- (আত্মীয়) ০১৭৩৭৮০৪২২৪)।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান ৭শ’টি নৌকা জব্দ

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

আপডেট সময় ০১:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘদিন স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ছোট্ট ১ ছেলে সন্তান ও শ্বশুর শাশুড়ী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী পলি বেগম। মানুষের কাছে হাত পেতে বা এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পরিবারের পেটে জুটছে কিছু ডাল ভাত, তবে হচ্ছে না অসুস্থ স্বামীর ঠিকমতো চিকিৎসা।

অসুস্থ জলিল হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউপির (৯নং ওয়ার্ড) কৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিনুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। কৌখালী বাজারে একটা ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে চলতো তাদের সংসার জীবনজীবিকা। বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন বিছানায়

দীর্ঘ ৪/৫ বছর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে ধরা পড়ে জলিল হাওলাদারের দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত। এরপর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। মোটামুটি সয়সম্ভল থাকলেও তা স্বামীর চিকিৎসায় খরচ করেছেন।

দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে এভাবেই মানুষের সাহায্যের টাকায় ও স্ত্রী পলি বেগম সেই ঝুপড়ি দোকানে চা পান বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছে কোনো রকমে। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা বলেছেন, জলিল হাওলাদারের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই স্ত্রী পলি বেগমের। স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্টে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পলি বেগমের। তার ওপর সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়েগেছে, দিনদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

বৃদ্ধ বাবা আমিনুদ্দীন বলেন, আমার ছেলেটা জন্য সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাই। আমার ছেলেটাকে বাঁচান, আমার ছেলেটার পরিবারকে বাঁচান।

স্ত্রী পলি বেগম বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তাতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তা এখন আর ঠিকমতো পারছিনা। আমি চারপাশে শুধু অন্ধকার দেখছি। আলো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি সরকার ও প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবান-হৃদয়বান ব্যক্তিদের ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। যদি আমার এই কষ্টের সময় কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আমি মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত পেতে দোয়া করবো। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (বিকাশ ও নগদ- (স্ত্রী পলি বেগম) ০১৭৭১৩৮৬১৪১ এবং যোগাযোগ- (আত্মীয়) ০১৭৩৭৮০৪২২৪)।