ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

নাটোরের বড়াইগ্রাম, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা কারণে, ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে

নাটোরের বড়াইগ্রামের ১নং জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ভবানীপুর মাঠ/বিলের বর্ষাকালীন পানি নিষ্কাষনের জন্য একটি সরকারি খাল থাকলেও নেই অস্তিত্ব।ফলে ব্যপক জলাবদ্ধতায় প্রায় ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। এই গ্রামের নব্বই শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাষন সমস্যার কারনে গতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। পানি নিষ্কাষনের জন্য খালটি ভবানীপুর বিল থেকে বহমান হয়ে পাশ্ববর্তি লালপুর উপজেলার (ওয়ালিয়া পশ্চিম মন্ডলপাড়া) গ্রামের মধ্য দিয়ে খলিষাডাঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে সরকারি বরাদ্ধের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম সীমানার অংশ খনন/সংস্কার করা হয়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, লালপুর সীমানায় খালের যে অংশটুকু পড়েছে তার কিছু অংশ বিভিন্ন অস্থায়ী এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। বিধায় বর্ষার পানি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে নিস্কাষন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভবানীপুর-আটঘরি মাঠের প্রায় দেড় হাজার বিঘা ধানসহ বিভিন্ন ফসল হুমকির মূখে পড়েছে। অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে এই জলাবদ্ধতার নিরশন না হলে এই এলাকার কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির মূখে পড়বে। প্রতিবছর একই সমস্যায় শতশত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কৃষি নির্ভর এই দেশে শুধু কিছু অসাধু মানুষের জন্য এবং পদ্ধতীগত সমস্যার কারনে এই এলাকার কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক এমপি তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী কে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সেখান থেকে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে অবগত করেন।

পরে বদলি এবং নির্বাচন জনিত কারনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি চাপা পড়ে যায়, কৃষকের সমস্যা সমস্যায় রয়ে যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অতি বর্ষনের কারনে ভবানীপুর মাঠে জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন ফসল বিশেষ করে ধান এর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, সরকারি বরাদ্ধের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম অংশ সংস্কার করেছি, কিন্তু বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও লালপুরের কিছু সংস্কার না করায় প্রতিবছরেই হালকা বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে দুই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। এই সমস্যা নিরশন হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলের জমি ও বসত ভিটা রক্ষা পাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, স্বরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

নাটোরের বড়াইগ্রাম, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা কারণে, ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে

আপডেট সময় ০১:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামের ১নং জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ভবানীপুর মাঠ/বিলের বর্ষাকালীন পানি নিষ্কাষনের জন্য একটি সরকারি খাল থাকলেও নেই অস্তিত্ব।ফলে ব্যপক জলাবদ্ধতায় প্রায় ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। এই গ্রামের নব্বই শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাষন সমস্যার কারনে গতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। পানি নিষ্কাষনের জন্য খালটি ভবানীপুর বিল থেকে বহমান হয়ে পাশ্ববর্তি লালপুর উপজেলার (ওয়ালিয়া পশ্চিম মন্ডলপাড়া) গ্রামের মধ্য দিয়ে খলিষাডাঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে সরকারি বরাদ্ধের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম সীমানার অংশ খনন/সংস্কার করা হয়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, লালপুর সীমানায় খালের যে অংশটুকু পড়েছে তার কিছু অংশ বিভিন্ন অস্থায়ী এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। বিধায় বর্ষার পানি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে নিস্কাষন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভবানীপুর-আটঘরি মাঠের প্রায় দেড় হাজার বিঘা ধানসহ বিভিন্ন ফসল হুমকির মূখে পড়েছে। অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে এই জলাবদ্ধতার নিরশন না হলে এই এলাকার কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির মূখে পড়বে। প্রতিবছর একই সমস্যায় শতশত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কৃষি নির্ভর এই দেশে শুধু কিছু অসাধু মানুষের জন্য এবং পদ্ধতীগত সমস্যার কারনে এই এলাকার কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক এমপি তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী কে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সেখান থেকে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে অবগত করেন।

পরে বদলি এবং নির্বাচন জনিত কারনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি চাপা পড়ে যায়, কৃষকের সমস্যা সমস্যায় রয়ে যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অতি বর্ষনের কারনে ভবানীপুর মাঠে জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন ফসল বিশেষ করে ধান এর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, সরকারি বরাদ্ধের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম অংশ সংস্কার করেছি, কিন্তু বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও লালপুরের কিছু সংস্কার না করায় প্রতিবছরেই হালকা বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে দুই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। এই সমস্যা নিরশন হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলের জমি ও বসত ভিটা রক্ষা পাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, স্বরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হবে।