হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারে হুমকির সম্মুখীন বন্যপ্রাণী,বনের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া যদি তারের কিছু জায়গায় প্লাস্টিক কভার লাগানো হলেও সেগুলোর বেশিরভাগেরই টেম্পার চলে গেছে।বনের বেশিরভাগ জায়গাতেই কভার লাগানোই হয়নি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়,কভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত গেছু প্রানী যেমন বানর,হনুমান,লজ্জাবতী বানর ইত্যাদ প্রাণী ক্রমাগত আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাণীগুলোর প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত হয়ে মারা যাচ্ছে না যেসব প্রানী অর্থাৎ আহত হচ্ছে তারা বংশ পরস্পরায় ওই প্রজাতির মধ্যে ধ্বংসাত্মক প্রজাতি বিনষ্টকারী ক্ষতি বয়ে বেড়াচ্ছে।জাপানে হিরোশিমায় ও নাকাশাকিতে পারমাণবিক বোমার বিরূপ প্রভাব আয় এখনো ওইখানে প্রজন্মের প্রজন্ম ক্ষতি বয়ে বেড়াচ্ছে।বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ ক্ষতি চলে আসছে।
বন্যপ্রাণীর প্রজন্মকে নষ্ট ও ধ্বংস করার চক্রান্ত হতে পারে বলে অনুমান করছেন বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কয়েকজন সদস্য।
এ বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সমিতির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বন অধিদপ্তর আমাদের কাছে কোন চাহিদা দেয়নি। আমাদের কাছে চিঠি প্রদান করলে অবশ্যই আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমি আমার অফিসের একজনকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জন্য চিঠি দিতে বলেছি।কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা জেনে জানাবো।
বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল জানান,বিগত দুই বছর ধরে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বৈদ্যুতিক তারে প্লাস্টিক কভার লাগানোর জন্য আন্দোলন করে আসলেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
এ বন্যপ্রাণীর উপর মানবকৃষ্ট নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।