কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপার দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা তাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
যানাযায় কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্ভয়পুর আদর্শ গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। তবে আজ রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, তাজুল ইসলাম মাদকাসক্ত। কথা না শোনায় নিজের মেয়ে মারিয়াকে কুপিয়ে হত্যার পর মাটিচাপা দেন পাষন্ড বাবা তাজুল ইসলাম। আজ সন্ধ্যায় উপজেলার জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের নির্ভয়পুরের পার্শ্ববর্তী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশের ভেতর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার নির্ভয়পুর গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চিতাখলা নামকস্থানে মাটির নিচ থেকে মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাজুল ইসলাম পুলিশকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েসহ তিনি গাছের চারা রোপণ করতে যান। একপর্যায়ে মেয়েকে একটি গাছের ঢাল নিয়ে আসতে বলেন তিনি। কথা না শোনায় রাগান্বিত হয়ে মেয়ের গলায় দা দিয়ে কোপ দেন। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে দ্রুত তার মরদেহ পাশের চিতাখলা এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে বাড়িতে চলে যান তাজুল।
ওসি আরও জানান, বিকেল থেকে নিখোঁজ মর্মে এলাকায় মাইকিং করে খোঁজাখুঁজি করা হয়। রোববার স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে তাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তিনি হত্যার কথা শিকার করেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রেহানা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।