ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সৌদি প্রবাসী ইমামের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই বাড়ির ফরিদের ছেলে ইয়ামিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ভিক্টিম।
গত রবিবার রাতে সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের বসত ঘরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভিক্টিম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় তাকে কূপ্রস্তাব দিত একই বাড়ির ইয়ামিন। রবিবার রাতে টয়লেটে যায় ভিক্টিম। দরজা খোলা পেয়ে ওতপেতে থাকা ইয়ামিন তার ঘরের রুমে প্রবেশ করে। ভিক্টিম টয়লেট থেকে ঘরে আসলে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন একই বাড়ির ইয়ামিন। রাত আনুমানিক ১টায় ভিক্টিমের চিৎকার শুনে শশুর শাশুড়ি ও ভাসুরসহ স্থানীয়রা ধর্ষক ইয়ামিনকে ভিক্টিমের রুমে আটক করেন।
ধর্ষক ইয়ামিনকে একই বাড়ির ওই ওয়ার্ডের চৌকিদারের কাছে হস্তান্তর করেন ভিক্টিমের পরিবার। উপস্থিত লোকজনের সামনে চৌকিদারের কাছ থেকে ধর্ষক ইয়ামিনকে ছিনিয়ে নেয় ধর্ষক ইয়ামিনের বাবা ফরিদ, দাদা ওয়াব আলী ও চাচা আলাউদ্দিনসহ শাহাবুদ্দিন। এমন অভিযোগ ভিক্টমসহ তার পরিবারের।
এঘটনায় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ভিক্টিমের বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে স্থানীয় মেম্বার হাবিবুল্লাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মেম্বারের উপস্থিত সালিশ বৈঠক চলার সময় ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা প্রমান পাওয়ায় ভিক্টিমের পরিবারকে আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে সালিশ বৈঠক শেষ হয়। স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুল্লাহ জানান, ধর্ষণের বিচার করার এখতিয়ার তার নেই। তাই তিনি উপস্থিত সালিশ বৈঠকে ভিক্টিমের পারিবারকে আইনের সহায়তা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে চলে যান।
ধর্ষক ইয়ামিনের কাছে জানতে চাইলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তবে তার বাবা ফরিদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই তার ছেলে কোথায় চলে গেছে তার কোন খোঁজ পাননি। ভিক্টিম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন- আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।