ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের। নাটোরের বড়াইগ্রাম, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা কারণে, ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে কুমিল্লায় ‌প্রতিমা বিসর্জ‌নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দূ‌র্গোৎসব ওজাবের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিলো পাষন্ড বাবা পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ্ থানাধীন হোটেল রয়েল টাইম আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা চট্টগ্রাম মহানগরীর রুকন সম্মেলনে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির বিবৃতি ফ্যাসিস্টের দোসর সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের বিচার দাবি ফেনির ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে এস এম সাইফুল আলম

নিষিদ্ধ শীর্ষ জঙ্গি নেতা তৌহিদ গ্রেপ্তার

জঙ্গি সংগঠন হিসাবে হিজবুত তাহরীর কে ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর তারা গোপনে সদস্য সংগ্রহ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা গেলেও আড়ালে থেকে গেছেন শীর্ষ নেতারা। কাটআউট পদ্ধতিতে কার্যক্রম চালানোর জন্য কোনভাবেই শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করতে পারেনি গোয়েন্দারা। গত সেপ্টেম্বরে অনলাইনে সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। সেখানে হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ ওরফে সিফাত প্রধান বক্তা ছিলেন। তারপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছে গোয়েন্দারা। গত বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে তৌহিদুর কে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটর (সিটিটিসি) সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়। এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি প্রধান) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তারা হাইলি রেডিকালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে আসছিল। হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে সিটিটিসি। গ্রেপ্তার তৌহিদুর হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ ২-৩ জনের মধ্যে একজন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, হিজবুত তাহরীর সাধারণত উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের টার্গেট করে প্রচারণা চালায়। তাদের ভাবনা, যদি এই শ্রেণিকে রিক্রুট করতে পারে প্রতিষ্ঠিত সমাজে সমর্থন পাবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তারা সদস্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বিবদ্যালয়কে টার্গেট করে। গ্রেপ্তার তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা। পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তৌহিদ কে ২০১১ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ১২ বছরে তৈহিদ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে চলে আসেন।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের প্রচেষ্টায় ২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে হিজবুত তাহরীর। ২০০৯ সালে হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের নেতারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের নেতা গ্রেপ্তার এবারই প্রথম। গত ৩০সেপ্টেম্বর হিজবুত তাহরীর একটি অনলাইন সম্মেলন করে। তারা সম্মেলনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার টানায়, অনলাইন প্রচারণা ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে আলোচনায় আসে তারা। ওই সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সম্মেলনে মঞ্চে উপস্থিত তিনজনের মধ্যে দুজন বক্তব্য দেয় ও একজন উপস্থাপক ছিল। প্রধান ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, আশা করছি বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তাদের সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা। তারা কাটআউট, স্লিপার সেল পদ্ধতিতে কাজ করে। তাদের রিক্রুট কৌশলটাও একটু অন্যরকম। বিভিন্ন গ্রুপকে টার্গেট করে মেসেজ দেয় তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করা হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তৌহিদুরকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আশা করছি, রিমান্ডে তার কাছ থেকে সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

নিষিদ্ধ শীর্ষ জঙ্গি নেতা তৌহিদ গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

জঙ্গি সংগঠন হিসাবে হিজবুত তাহরীর কে ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর তারা গোপনে সদস্য সংগ্রহ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা গেলেও আড়ালে থেকে গেছেন শীর্ষ নেতারা। কাটআউট পদ্ধতিতে কার্যক্রম চালানোর জন্য কোনভাবেই শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করতে পারেনি গোয়েন্দারা। গত সেপ্টেম্বরে অনলাইনে সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। সেখানে হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ ওরফে সিফাত প্রধান বক্তা ছিলেন। তারপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছে গোয়েন্দারা। গত বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে তৌহিদুর কে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটর (সিটিটিসি) সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়। এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি প্রধান) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তারা হাইলি রেডিকালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে আসছিল। হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে সিটিটিসি। গ্রেপ্তার তৌহিদুর হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ ২-৩ জনের মধ্যে একজন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, হিজবুত তাহরীর সাধারণত উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের টার্গেট করে প্রচারণা চালায়। তাদের ভাবনা, যদি এই শ্রেণিকে রিক্রুট করতে পারে প্রতিষ্ঠিত সমাজে সমর্থন পাবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তারা সদস্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বিবদ্যালয়কে টার্গেট করে। গ্রেপ্তার তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা। পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তৌহিদ কে ২০১১ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ১২ বছরে তৈহিদ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে চলে আসেন।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের প্রচেষ্টায় ২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে হিজবুত তাহরীর। ২০০৯ সালে হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের নেতারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের নেতা গ্রেপ্তার এবারই প্রথম। গত ৩০সেপ্টেম্বর হিজবুত তাহরীর একটি অনলাইন সম্মেলন করে। তারা সম্মেলনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার টানায়, অনলাইন প্রচারণা ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে আলোচনায় আসে তারা। ওই সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সম্মেলনে মঞ্চে উপস্থিত তিনজনের মধ্যে দুজন বক্তব্য দেয় ও একজন উপস্থাপক ছিল। প্রধান ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, আশা করছি বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তাদের সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা। তারা কাটআউট, স্লিপার সেল পদ্ধতিতে কাজ করে। তাদের রিক্রুট কৌশলটাও একটু অন্যরকম। বিভিন্ন গ্রুপকে টার্গেট করে মেসেজ দেয় তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করা হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তৌহিদুরকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আশা করছি, রিমান্ডে তার কাছ থেকে সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।