ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের। নাটোরের বড়াইগ্রাম, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা কারণে, ১৬’শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে কুমিল্লায় ‌প্রতিমা বিসর্জ‌নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দূ‌র্গোৎসব ওজাবের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিলো পাষন্ড বাবা পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ্ থানাধীন হোটেল রয়েল টাইম আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা চট্টগ্রাম মহানগরীর রুকন সম্মেলনে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির বিবৃতি ফ্যাসিস্টের দোসর সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের বিচার দাবি ফেনির ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে এস এম সাইফুল আলম

গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে দুই কুতুবের চাঁদাবাজি: নিরব কর্তৃপক্ষ

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সীমান্ত চোরাচালান আমদানি ও পাচার করে আসছে দুই দরবেশ।

দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ও ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পান্তুুমাই সোনারহাট,বাবুর কোনা সিঁড়িরঘাট,হাজিপুর লামাপুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যম্প,লক্ষণ ছড়া,ঢালারপার, নকশিয়া পুঞ্জি,কাটারি, সংগ্রাম পুঞ্জি, এসব এলাকা সীমান্তের চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্য, গরু মহিষ,পান সুপারি,,বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল, মাদক ব্যান্ড,বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন,বিপুল পরিমাণ চিনি, কসমেটিকস্ নাসির উদ্দীন বিড়ি চা পাতা সহ্ চোরাইপথে আসা ভারতীয় সকল পণ্যের উপর পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে ঐসকল পণ্য রাতের গভীরে নিরাপত্তা মহড়ায় পাচার করে আসছে পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত মানিক মিয়া(৪৫) উজ্জ্বল মিয়া(৩৫) সহ একটি চোরাচালান পাচারকারী দরবেশ চক্র।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের মানিক মিয়া উজ্জ্বল মিয়া ও বাড়িতে থেকে পুলিশের লাইন নিয়ন্ত্রক করেন রাতের আধারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি,মাদক,কসমেটিকস, গরু মহিষ,মোটরসাইকেল ,অগ্নিয়াস্ত্র উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজারের আশপাশে মজুদ রেখে রাত ৪টা বা ভোর ৫ টা হলেই পিকআপ অথবা নৌ পথে পাচার করে আসছেন। গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরও থেমে নেই এই দুই দরবেশের চোরাচালান পাচারের অপকৌশল।

উপজেলার মধ্য জাফলং, পূর্ব জাফলং ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই তৎপর হয়ে ওঠে কয়েকটি পক্ষ। সুযোগ বুঝে ‘লাইনম্যান’ মুঠোফোনে সংকেত দেন ‘লাইন ক্লিয়ার’। এরপর সীমান্তের দিকে এগোতে থাকেন চোরাকারবারিরা। রাতে অবৈধ চোরাচালানের নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলার বাইবাস রোড।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশসহ একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনী জড়িত রয়েছে এসব চোরাচালানের সাথে। তাদের প্রত্যকের নিজস্ব লোক রয়েছে চোরাচালান কারবারিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য। তবে পণ্য বেধে টাকার পরিমানও ভিন্ন। বিভিন্ন হারে ভাগ-বাটোয়ারা হয় লাইনম্যান ও সোর্সদের মাধ্যমে। বাদ পড়েন না স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকরাও। সময়ে সময়ে চোরাচালানের কৌশল বদল করা হয়। দিন বা রাত নেই যে কোন সময়ে সুযোগমতো শহরে প্রবেশ করে ভারতীয় হরেক রকম পণ্যের চালান ও গরু-মহিষ ভর্তি ট্রাক।

অভিযোগে প্রকাশ এসকল চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত পুলিশের নামে টাকা আদায় করেন যে সকল লাইনম্যান তারা হলেন, উজ্জ্বল ও মানিক লাইনে মধ্য জাফলংয়ের লাইনের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা স্থানীয় রাধানগর বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। এছাড়া মধ্য জাফলং ও পূর্ব জাফলংয়ে রয়েছেন মোস্তফাও সামসু আর তার রয়েছে একাধিক বাহিনী সে সকলেরই গডফাঁদার।

সকল লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রক হলেন গোয়াইনঘাট থানার একজন এস আই ও
এসআই। এই অসাধু পুলিশ অফিসারের জন্য দিন দিন গোয়াইনঘাটে চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সকল কিছু দেখেন বলেই চোরাচালানের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হয়নি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের পক্ষে থেকে।

সীমান্তের স্থানীয় রাধা কিন্তু থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে দাবি করছেন এলাকার সচেতন মহল।

গোয়াইনঘাট থানার পুলিশের এই অবৈধ আয়ের হাতিয়ার ও জড়িত অসাধু ঘোষখোঁর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায়ই বন্ধের পথে দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত চা দোকানি মো. জলিল হাওলাদারের।

গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে দুই কুতুবের চাঁদাবাজি: নিরব কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় ০৭:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সীমান্ত চোরাচালান আমদানি ও পাচার করে আসছে দুই দরবেশ।

দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ও ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পান্তুুমাই সোনারহাট,বাবুর কোনা সিঁড়িরঘাট,হাজিপুর লামাপুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যম্প,লক্ষণ ছড়া,ঢালারপার, নকশিয়া পুঞ্জি,কাটারি, সংগ্রাম পুঞ্জি, এসব এলাকা সীমান্তের চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্য, গরু মহিষ,পান সুপারি,,বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল, মাদক ব্যান্ড,বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন,বিপুল পরিমাণ চিনি, কসমেটিকস্ নাসির উদ্দীন বিড়ি চা পাতা সহ্ চোরাইপথে আসা ভারতীয় সকল পণ্যের উপর পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে ঐসকল পণ্য রাতের গভীরে নিরাপত্তা মহড়ায় পাচার করে আসছে পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত মানিক মিয়া(৪৫) উজ্জ্বল মিয়া(৩৫) সহ একটি চোরাচালান পাচারকারী দরবেশ চক্র।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের মানিক মিয়া উজ্জ্বল মিয়া ও বাড়িতে থেকে পুলিশের লাইন নিয়ন্ত্রক করেন রাতের আধারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি,মাদক,কসমেটিকস, গরু মহিষ,মোটরসাইকেল ,অগ্নিয়াস্ত্র উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজারের আশপাশে মজুদ রেখে রাত ৪টা বা ভোর ৫ টা হলেই পিকআপ অথবা নৌ পথে পাচার করে আসছেন। গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরও থেমে নেই এই দুই দরবেশের চোরাচালান পাচারের অপকৌশল।

উপজেলার মধ্য জাফলং, পূর্ব জাফলং ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই তৎপর হয়ে ওঠে কয়েকটি পক্ষ। সুযোগ বুঝে ‘লাইনম্যান’ মুঠোফোনে সংকেত দেন ‘লাইন ক্লিয়ার’। এরপর সীমান্তের দিকে এগোতে থাকেন চোরাকারবারিরা। রাতে অবৈধ চোরাচালানের নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলার বাইবাস রোড।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশসহ একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনী জড়িত রয়েছে এসব চোরাচালানের সাথে। তাদের প্রত্যকের নিজস্ব লোক রয়েছে চোরাচালান কারবারিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য। তবে পণ্য বেধে টাকার পরিমানও ভিন্ন। বিভিন্ন হারে ভাগ-বাটোয়ারা হয় লাইনম্যান ও সোর্সদের মাধ্যমে। বাদ পড়েন না স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকরাও। সময়ে সময়ে চোরাচালানের কৌশল বদল করা হয়। দিন বা রাত নেই যে কোন সময়ে সুযোগমতো শহরে প্রবেশ করে ভারতীয় হরেক রকম পণ্যের চালান ও গরু-মহিষ ভর্তি ট্রাক।

অভিযোগে প্রকাশ এসকল চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত পুলিশের নামে টাকা আদায় করেন যে সকল লাইনম্যান তারা হলেন, উজ্জ্বল ও মানিক লাইনে মধ্য জাফলংয়ের লাইনের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা স্থানীয় রাধানগর বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। এছাড়া মধ্য জাফলং ও পূর্ব জাফলংয়ে রয়েছেন মোস্তফাও সামসু আর তার রয়েছে একাধিক বাহিনী সে সকলেরই গডফাঁদার।

সকল লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রক হলেন গোয়াইনঘাট থানার একজন এস আই ও
এসআই। এই অসাধু পুলিশ অফিসারের জন্য দিন দিন গোয়াইনঘাটে চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সকল কিছু দেখেন বলেই চোরাচালানের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হয়নি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের পক্ষে থেকে।

সীমান্তের স্থানীয় রাধা কিন্তু থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে দাবি করছেন এলাকার সচেতন মহল।

গোয়াইনঘাট থানার পুলিশের এই অবৈধ আয়ের হাতিয়ার ও জড়িত অসাধু ঘোষখোঁর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।