বৈশ্বিক আসরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই যেন এখন নতুন সব বিতর্কের মঞ্চ। মাঠের ক্রিকেটের ঘটনা তো বটেই, সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব জায়গাতেই অন্যরকম এক উত্তাপ বিরাজ করে ম্যাচের আগে-পরে। অ্যাডিলেড ওভালে গেল বুধবারের ম্যাচের পরও দেখা মিলল সেই একই রকম এক দৃশ্যের! বিশেষ করে ভারতের ফেইক ফিল্ডিং আর বৃষ্টির পর দ্রুত ভেজা মাঠে খেলা শুরু নিয়ে আলোচনা চলছেই। এরপর সেই আগুনে যেন ঘি ঢাললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই ভারতীয় ধারাভাষ্যকার জানালেন কোহলির সেই অঙ্গভঙ্গিটা ১০০ শতাংশ ফেইক ফিল্ডিং ছিল! বল হাতে না নিয়েও ছুঁড়ে মারার করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোহলি, নিশ্চিত আকাশ চোপড়া। এমনকি এই ধারাভাষ্যকার মনে করিয়ে দিলেন ভারতের জয়ের ব্যবধানটাও।
আকাশ বলেন, ‘সেটা ১০০ শতাংশ ফেইক ফিল্ডিং ছিল! কোহলি বল হাতে না নিয়েও থ্রো করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার এবং তৃতীয় আম্পায়ার যদি ব্যাপারটা দেখতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই পেনাল্টি হিসেবে ভারতের ৫ রান কাটা যেত।’
সেই বলে ফেইক ফিল্ডিং হলে বলটা ডেড হতো, বাংলাদেশ পেত একটা বাড়তি বল, মনে করিয়ে দিলেন সাবেক ভারতীয় এই ব্যাটার। বলেন, ‘শুধু তাই নয়। ওই ডেলিভারিটাও ‘ডেড বল’ বলে বিবেচিত হত। ফলে দুই রান দৌড়ে নেয়ার জন্য ভারতের বিপক্ষে ৭ রান পেত বাংলাদেশ। এমনকি সেই ডেলিভারি ‘ডেড বল’ হওয়ার জন্য আরও একটি বাড়তি বল খেলার সুযোগ পেত সাকিবরা। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ আম্পায়ারের চোখ থেকে এত বড় ঘটনা এড়িয়ে গেছে। তারা দেখলে বাংলাদেশ কিন্তু জিতে যেত। মনে রাখবেন আমরা কিন্তু ৫ রানে ম্যাচ জিতেছিলাম।’
আলোচনার শুরুটা মূলত করেছিলেন নুরুল হাসান। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে জানিয়েছিলেন ফেইক ফিল্ডিং নিয়ে নাজমুল হোসেনের করা অভিযোগের কথা। এরপর থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আকাশ চোপড়ার অভিমত, সেই বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের অভিযোগটা অমূলক নয়। তবে এই নিয়ে আলোচনাটা এখন বন্ধও হওয়া উচিত, মনে হচ্ছে তার।
আকাশের কথা, ‘ভারতীয় দল এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরেরবার থেকে আম্পায়াররা কিন্তু সজাগ থাকবে। এখানে আরও একটা প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ কি সঠিক? হ্যাঁ। তারা সঠিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো আম্পায়াররা ঘটনার দিকে নজরই দেয়নি। তাই এই ইস্যু নিয়ে এখানেই কথা বলা বন্ধ করা উচিত।’