ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অবরোধে যানবাহনের সাথে বেড়েছে যাত্রীদের উপস্থিতি

আমরা হরতাল-অবরোধেও গাড়ি নিয়ে বাইর হই। সকাল বেলা গাড়ি কম থাকলে আমগো গাড়ি ভরাই থাকে। কিন্তু অনেক সময় তো যাত্রীও থাকে না। আজকেও যাত্রী কম। এতো ঝামেলার মধ্যেও গাড়ি নিয়া বাইর হইয়া যদি যাত্রীই না পাই তাইলে লাভ কী? আর খালি গাড়িতে আগুন দেয়, আন্দোলন করে হ্যারা ভেজাল আমাগো।’

দ্বিতীয় দফায় অবরোধের প্রথমদিন আজ, রোববার গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামার পর বলছিলেন বাস হেলপার সজীব।

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো দ্বিতীয় দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে। এবার তারা রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

অবরোধের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা থেকে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে যানবাহন চলাচল আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে যাত্রী উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সাইনবোর্ড, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবারের পর আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। অন্যান্য সময় এই দিনে সকাল থেকেই গাড়ির বাড়তি চাপ থাকে। আর গণপরিবহনগুলো অনেকটাই যাত্রীবোঝাই করেই চলাচল করে। তবে আজ কিছুটা কম হলেও গত সপ্তাহের অবরোধের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী বেশি।

সাইনবোর্ড থেকে বাসগুলো রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, শনির আখড়া, কাজলা হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল কিংবা চানখারপুল যাতায়াত করে। এসব গাড়ির মধ্যে মৌমিতাসহ কিছু গাড়ি চলে চাঁনখারপুল হয়ে। অন্যদিন এই গাড়ির সংখ্যা অনেকটা বেশি থাকলেও কিছুটা কম আজ। অনেক সময় পরপর একটি, দুইটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, এই রুটে গুলিস্তান, মতিঝিলে চলাচল করা লোকাল বাসগুলোর সংখ্যা বেশি। বাসের সংখ্যা বেশি থাকলেও যাত্রী কম। ডেকে ডেকে যাত্রী তুলেও পূর্ণ হচ্ছে না বাস।

সচিবালয়ে কর্মরত আহাদ হোসাইন বলেন, আসলে হরতাল-অবরোধ যাই থাকুক আমাদের তো অফিস ছুটি নেই। বরং এসব দিনগুলোতে অফিসে যাওয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক থাকে। কিন্তু রাস্তায় তো গাড়ি পাওয়া যায় না সেভাবে। সচিবালয়ের গাড়িও সেভাবে পাই না, তাই পাবলিক বাসই ভরসা। আজ গাড়ির চলাচলও বেশি দেখতে পাচ্ছি।

একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার অফিস মগবাজার। এখন যানবাহনের যতই সংকট থাকুক আমাদের বের হতেই হবে। তার ওপর বাসে অগ্নিসংযোগের আতঙ্ক। শনিবার থেকেও তো গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হয়, কিন্তু রাস্তায় তো সেভাবে গাড়ি পাই না। আজ সকালে শুরুর দিকে গাড়ি না থাকলেও পরে বেড়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের উপর হামলা ও হত্যার হুমকি নিয়ে চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি

অবরোধে যানবাহনের সাথে বেড়েছে যাত্রীদের উপস্থিতি

আপডেট সময় ১২:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

আমরা হরতাল-অবরোধেও গাড়ি নিয়ে বাইর হই। সকাল বেলা গাড়ি কম থাকলে আমগো গাড়ি ভরাই থাকে। কিন্তু অনেক সময় তো যাত্রীও থাকে না। আজকেও যাত্রী কম। এতো ঝামেলার মধ্যেও গাড়ি নিয়া বাইর হইয়া যদি যাত্রীই না পাই তাইলে লাভ কী? আর খালি গাড়িতে আগুন দেয়, আন্দোলন করে হ্যারা ভেজাল আমাগো।’

দ্বিতীয় দফায় অবরোধের প্রথমদিন আজ, রোববার গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামার পর বলছিলেন বাস হেলপার সজীব।

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো দ্বিতীয় দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে। এবার তারা রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

অবরোধের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা থেকে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে যানবাহন চলাচল আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে যাত্রী উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সাইনবোর্ড, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবারের পর আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। অন্যান্য সময় এই দিনে সকাল থেকেই গাড়ির বাড়তি চাপ থাকে। আর গণপরিবহনগুলো অনেকটাই যাত্রীবোঝাই করেই চলাচল করে। তবে আজ কিছুটা কম হলেও গত সপ্তাহের অবরোধের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী বেশি।

সাইনবোর্ড থেকে বাসগুলো রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, শনির আখড়া, কাজলা হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল কিংবা চানখারপুল যাতায়াত করে। এসব গাড়ির মধ্যে মৌমিতাসহ কিছু গাড়ি চলে চাঁনখারপুল হয়ে। অন্যদিন এই গাড়ির সংখ্যা অনেকটা বেশি থাকলেও কিছুটা কম আজ। অনেক সময় পরপর একটি, দুইটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, এই রুটে গুলিস্তান, মতিঝিলে চলাচল করা লোকাল বাসগুলোর সংখ্যা বেশি। বাসের সংখ্যা বেশি থাকলেও যাত্রী কম। ডেকে ডেকে যাত্রী তুলেও পূর্ণ হচ্ছে না বাস।

সচিবালয়ে কর্মরত আহাদ হোসাইন বলেন, আসলে হরতাল-অবরোধ যাই থাকুক আমাদের তো অফিস ছুটি নেই। বরং এসব দিনগুলোতে অফিসে যাওয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক থাকে। কিন্তু রাস্তায় তো গাড়ি পাওয়া যায় না সেভাবে। সচিবালয়ের গাড়িও সেভাবে পাই না, তাই পাবলিক বাসই ভরসা। আজ গাড়ির চলাচলও বেশি দেখতে পাচ্ছি।

একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার অফিস মগবাজার। এখন যানবাহনের যতই সংকট থাকুক আমাদের বের হতেই হবে। তার ওপর বাসে অগ্নিসংযোগের আতঙ্ক। শনিবার থেকেও তো গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হয়, কিন্তু রাস্তায় তো সেভাবে গাড়ি পাই না। আজ সকালে শুরুর দিকে গাড়ি না থাকলেও পরে বেড়েছে।