ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির! নাগরিকের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপির ৩ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে ১৭৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা শুরু; নিরাপত্তায় আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী পটুয়াখালীতে ৮২ হাজার কিশোরী পাবে এইচপিভি টিকা

চলে গেলেন ‘তবক দেওয়া পান’- এর কবি আসাদ চৌধুরী

ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তার ছেলে জারিফ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টরেন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসাদ চৌধুরী মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।

বরেণ্য এই কবির বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

অন্যদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল।

তিনি লেখেন, ‘মৃত্যু হায়েনাদের মতো তাঁর পিছু লেগেছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তিনি ছিলেন সিংহরাজ। সহজে হার মানেননি, তাঁর নামের অর্থও তাই।
সবার টান টান উত্তেজনা আর শুভ প্রত্যাশার অগুনিত তারগুলো ছিঁড়ে গেছে। ’

কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই এখন টরেন্টোয় আছেন।

সজ্জন আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম। তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী আর টেলিভিশনে জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্যও তিনি পরিচিত।

তিনি ভরাট কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করেও মানুষের মন জয় করেছেন। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী এবং অণুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য।

প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’ দিয়েই কবি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর ২০১৩ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু। ’

কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের (তৎকালীন বাকেরগঞ্জ) মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

কবির পিতার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী ওরফে ধনু মিয়া ও মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু

চলে গেলেন ‘তবক দেওয়া পান’- এর কবি আসাদ চৌধুরী

আপডেট সময় ০৩:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তার ছেলে জারিফ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টরেন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসাদ চৌধুরী মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।

বরেণ্য এই কবির বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

অন্যদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল।

তিনি লেখেন, ‘মৃত্যু হায়েনাদের মতো তাঁর পিছু লেগেছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তিনি ছিলেন সিংহরাজ। সহজে হার মানেননি, তাঁর নামের অর্থও তাই।
সবার টান টান উত্তেজনা আর শুভ প্রত্যাশার অগুনিত তারগুলো ছিঁড়ে গেছে। ’

কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই এখন টরেন্টোয় আছেন।

সজ্জন আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম। তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী আর টেলিভিশনে জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্যও তিনি পরিচিত।

তিনি ভরাট কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করেও মানুষের মন জয় করেছেন। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী এবং অণুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য।

প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’ দিয়েই কবি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর ২০১৩ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু। ’

কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের (তৎকালীন বাকেরগঞ্জ) মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

কবির পিতার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী ওরফে ধনু মিয়া ও মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।