ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত: আমান ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঔষধের গুণগত মান ঠিক রেখে স্পে করার আহবান আমিনুল হকের গ্লোবাল লাভ অফ লাইভস অ্যাওয়ার্ডস পেলেন নৌকা স্কুলের রেজওয়ান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত পলিথিনে না দিলে ‘কিসে দিমু’ কুমিল্লায় র‌্যাব ১১ সিপিসি২ এর অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার গোয়াইনঘাটে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষনের উদ্বোধনঃ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি গঠন। হাড়িয়ে যাওয়া পিতাকে ফিরে পেতে সন্তানের আকুতি
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন - ৩

সাংবাদিকতা কি বিতকৃত পেশায় পরিণত ?

বর্তমান পরিস্থিতির পরে আজকের বিশেষ প্রতিবেদন সাত পর্বের তৃতীয় পর্ব। এখন সাংবাদিকতা বিতকৃত পেশায় পরিণত হয়েছে। পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হযে দাড়িয়েছে সাংবাদিকতা।এখন আর পেশাদার সাংবাদিকরা গলায় কার্ড ঝুলাতে লজ্জা বোধ করেন। কথিত সাংবাদিকদের জন্য দেশ জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে এসব সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। আর কথিত সাংবাদিক কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি একেবারে মিলাম হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে ফেসবুকে সাংবাদিক আর সাংবাদিক নেতার অভাব নেই। ডিজিটাল যুগে ফেসবুক হয়ে গেছে সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা বনানোর হাতিয়ার। এখন অনেকে একাধিক প্রেস ক্লাবের নেতাগীরী করছে। এক কথায় যার ফেসবুক আছে সে এখন সাংবাদিক বা সাংবাদিক নেতা। কিছু লিখতে পারুক আর না পারুক অন্যের নিউজ কপি করে ছেড়ে দিচ্ছে তার ফেসবুকে । এরা আবার গর্ব করে বলছে আপনার নিউজ করে দিয়েছি। এসব বিষয়ে অনেকে হাসী তামাসা করে। যদিও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিপুল অগ্রগতি এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ আধুনিক সাংবাদিকতার ধরন-প্রকৃতি বহুলাংশে বদলে দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া গণমাধ্যমের উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছে; ফলে বাড়ছে নতুন চ্যালেঞ্জও। বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য সংবাদমাধ্যমকে সপ্তাহের সাত দিন এবং দিনের ২৪ ঘণ্টাই তরতাজা সংবাদ প্রচার করতে হচ্ছে। সংবাদ পরিবেশনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, কনটেন্ট একীভূতকরণ ও তা প্রচারকে আধুনিক সাংবাদিকতার প্রবণতা বলে মনে করা হয়। মিডিয়া বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেটভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমই হবে আগামী দিনের সংবাদমাধ্যম। তবে আমি মনে করি যদি এই সব ভুঁইফোড় সাংবাদিক বন্ধ না হয় তাহলে সেটা হয়তো কখনো সম্ভাব হবে না। এখন ডিজিটাল ভাবে সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলা করছেন সেখানে। প্রকৃত ঘটনা কি-সেটা না জেনে ধান্ধা খোজার চেষ্টা করে। যেকোন ঘটনায় তাদের দরকার নিজেকে সাংবাদিক প্রমাণ করা। এরা রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিচারন করে ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করছে। এসব কার্ডধারী সাংবাদিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সকলে। এদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এখানকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরসহ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জনপ্রতিনিধিসহ এমনকি সাধারণ মানুষও এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এরা তুচ্ছ বিষয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এরা পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কোমরে ক্যামেরা সাটিয়ে সারাদিন ভূমি অফিস, পিআইও অফিস, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, সরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট কিনিক, এনজিও অফিস,থানা এবং বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তদবির বাণিজ্য করে । আবার অনেকের কাছে তিন-পাঁচটি বিভিন্ন পত্রিকার কার্ড আছে। আছে একাধিক সংগঠনের আই ডি কার্ড। এরা গাড়িতে আগে পেছনে সাংবাদিক স্টীকার লাগিয়ে সারা দেশে দাপিয়ে বেড়ায়। এরা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরিচয় পর্ব শুরু করেন। পরে ইংরেজীতে কিছু বলার চেষ্টা করে। যা অধিকাংশ ইংরেজী ভুল বলে। এমনকি শুদ্ধ বাংলাও তারা বলতে পারে না। এদের কারণে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা প্রতিনিয়ত বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। এদের মধ্যে কিছু মৌসুমী (সিজনাল) সাংবাদিকও রয়েছে। এমনকি তারা প্রকৃত সাংবাদিকদেরও হয়রানি করছে। এছাড়া কিছুদিন আগেও যারা নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, এখন তারা নিজেদের নামসর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। এসব চক্রের সাথে থাকে সুন্দরী নারী।লেখা পড়া জানুক আর না জানুক তাদের কাছে মিডিয়ার আইডি কার্ড রযেছে। অনেক সময় এদের দিয়ে ফিটিং বানিজ্য করছে তারা। গত সাত দশকে সাংবাদিকতার ধরন অনেক পাল্টে গেছে। পূর্বের সাংবাদিকতা ছিল সততা-নির্ভর ও চ্যালেঞ্জিং। আর এখনকার সাংবাদিকতা প্রযুক্তি নির্ভর ও সুবিধা আদায়ের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনীতিক, অন্য পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের সমীহের চোখে দেখতেন। সাংবাদিকরা দল-মতের ঊর্ধ্বে থাকায় বিশেষ মর্যাদায় আসীন ছিলেন; এখন আর তা নেই। এসব কারনে ক্রমেই মানহীন পেশায় পরিণত হচ্ছে। এসব আদর্শহীন সাংবাদিকর শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য যেন তৈরী হয়েছে।তারা সবসময় তাদের পকেট ভরার চেষ্টা করছে। এদের হাত থেকে কোটা সাংবাদিক সমাজকে বাঁচাতে হবে এজন্যই প্রয়োজন রয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমি সকলকে সাদার সাংবাদিকদের বিনীতভাবে আহবান করব যেন সকলে ঐক্যবদ্ধ মাধ্যমে সমাজ থেকে অপসংবাদিকতা দূর করতে পারি। বস্তুনিষ্ট পেশাদারিত্ব সাংবাদিকতার মাধ্যমে যেন মহান পেশাটি আবার তার অস্তিত্ব ফিরে পায়।

লেখক ও গবেষক : আওরঙ্গজেব কামাল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত: আমান

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন - ৩

সাংবাদিকতা কি বিতকৃত পেশায় পরিণত ?

আপডেট সময় ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বর্তমান পরিস্থিতির পরে আজকের বিশেষ প্রতিবেদন সাত পর্বের তৃতীয় পর্ব। এখন সাংবাদিকতা বিতকৃত পেশায় পরিণত হয়েছে। পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হযে দাড়িয়েছে সাংবাদিকতা।এখন আর পেশাদার সাংবাদিকরা গলায় কার্ড ঝুলাতে লজ্জা বোধ করেন। কথিত সাংবাদিকদের জন্য দেশ জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে এসব সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। আর কথিত সাংবাদিক কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি একেবারে মিলাম হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে ফেসবুকে সাংবাদিক আর সাংবাদিক নেতার অভাব নেই। ডিজিটাল যুগে ফেসবুক হয়ে গেছে সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা বনানোর হাতিয়ার। এখন অনেকে একাধিক প্রেস ক্লাবের নেতাগীরী করছে। এক কথায় যার ফেসবুক আছে সে এখন সাংবাদিক বা সাংবাদিক নেতা। কিছু লিখতে পারুক আর না পারুক অন্যের নিউজ কপি করে ছেড়ে দিচ্ছে তার ফেসবুকে । এরা আবার গর্ব করে বলছে আপনার নিউজ করে দিয়েছি। এসব বিষয়ে অনেকে হাসী তামাসা করে। যদিও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিপুল অগ্রগতি এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ আধুনিক সাংবাদিকতার ধরন-প্রকৃতি বহুলাংশে বদলে দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া গণমাধ্যমের উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছে; ফলে বাড়ছে নতুন চ্যালেঞ্জও। বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য সংবাদমাধ্যমকে সপ্তাহের সাত দিন এবং দিনের ২৪ ঘণ্টাই তরতাজা সংবাদ প্রচার করতে হচ্ছে। সংবাদ পরিবেশনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, কনটেন্ট একীভূতকরণ ও তা প্রচারকে আধুনিক সাংবাদিকতার প্রবণতা বলে মনে করা হয়। মিডিয়া বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেটভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমই হবে আগামী দিনের সংবাদমাধ্যম। তবে আমি মনে করি যদি এই সব ভুঁইফোড় সাংবাদিক বন্ধ না হয় তাহলে সেটা হয়তো কখনো সম্ভাব হবে না। এখন ডিজিটাল ভাবে সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলা করছেন সেখানে। প্রকৃত ঘটনা কি-সেটা না জেনে ধান্ধা খোজার চেষ্টা করে। যেকোন ঘটনায় তাদের দরকার নিজেকে সাংবাদিক প্রমাণ করা। এরা রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিচারন করে ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করছে। এসব কার্ডধারী সাংবাদিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সকলে। এদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এখানকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরসহ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জনপ্রতিনিধিসহ এমনকি সাধারণ মানুষও এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এরা তুচ্ছ বিষয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এরা পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কোমরে ক্যামেরা সাটিয়ে সারাদিন ভূমি অফিস, পিআইও অফিস, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, সরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট কিনিক, এনজিও অফিস,থানা এবং বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তদবির বাণিজ্য করে । আবার অনেকের কাছে তিন-পাঁচটি বিভিন্ন পত্রিকার কার্ড আছে। আছে একাধিক সংগঠনের আই ডি কার্ড। এরা গাড়িতে আগে পেছনে সাংবাদিক স্টীকার লাগিয়ে সারা দেশে দাপিয়ে বেড়ায়। এরা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরিচয় পর্ব শুরু করেন। পরে ইংরেজীতে কিছু বলার চেষ্টা করে। যা অধিকাংশ ইংরেজী ভুল বলে। এমনকি শুদ্ধ বাংলাও তারা বলতে পারে না। এদের কারণে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা প্রতিনিয়ত বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। এদের মধ্যে কিছু মৌসুমী (সিজনাল) সাংবাদিকও রয়েছে। এমনকি তারা প্রকৃত সাংবাদিকদেরও হয়রানি করছে। এছাড়া কিছুদিন আগেও যারা নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, এখন তারা নিজেদের নামসর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। এসব চক্রের সাথে থাকে সুন্দরী নারী।লেখা পড়া জানুক আর না জানুক তাদের কাছে মিডিয়ার আইডি কার্ড রযেছে। অনেক সময় এদের দিয়ে ফিটিং বানিজ্য করছে তারা। গত সাত দশকে সাংবাদিকতার ধরন অনেক পাল্টে গেছে। পূর্বের সাংবাদিকতা ছিল সততা-নির্ভর ও চ্যালেঞ্জিং। আর এখনকার সাংবাদিকতা প্রযুক্তি নির্ভর ও সুবিধা আদায়ের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনীতিক, অন্য পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের সমীহের চোখে দেখতেন। সাংবাদিকরা দল-মতের ঊর্ধ্বে থাকায় বিশেষ মর্যাদায় আসীন ছিলেন; এখন আর তা নেই। এসব কারনে ক্রমেই মানহীন পেশায় পরিণত হচ্ছে। এসব আদর্শহীন সাংবাদিকর শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য যেন তৈরী হয়েছে।তারা সবসময় তাদের পকেট ভরার চেষ্টা করছে। এদের হাত থেকে কোটা সাংবাদিক সমাজকে বাঁচাতে হবে এজন্যই প্রয়োজন রয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমি সকলকে সাদার সাংবাদিকদের বিনীতভাবে আহবান করব যেন সকলে ঐক্যবদ্ধ মাধ্যমে সমাজ থেকে অপসংবাদিকতা দূর করতে পারি। বস্তুনিষ্ট পেশাদারিত্ব সাংবাদিকতার মাধ্যমে যেন মহান পেশাটি আবার তার অস্তিত্ব ফিরে পায়।

লেখক ও গবেষক : আওরঙ্গজেব কামাল