ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান পটুয়াখালীতে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন যোদ্ধাদের নতুন প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ফিলিস্তিনিরা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান মুরাদনগরের জোরপূর্বক হিন্দু পরিবারের রাস্তা দখলের পায়তারা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ তজুমউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন

মরক্কোয় ভয়াবহ: এক গ্রামের অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি

শক্তিশালী ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার বিধ্বস্ত হয়েছে । এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই হাজার ১২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ দুই হাজার চার শতাধিক।

এদিকে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে মরক্কোর আটলাস পর্বতমালার তাফেঘাগ নামের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা এখন হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধানী নয়তো মারা গেছে, সাংবাদিকদের এমনটা বলছিলেন ভুক্তভোগী হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ধ্বংসস্তূপের ওপরে উঠছিলাম, তখন বুঝতে পেরেছিলাম এখান থেকে কেউ অক্ষত অবস্থায় বের হতে পারবে না।’

ভূমিকম্পের আঘাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তাদের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির ইট বা পাথর কোনোটিই অক্ষত নেই। ২০০ বাসিন্দার মধ্যে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।

হাসান বলেন, ‘আক্রান্তদের পালানোর সুযোগ ছিল না। নিজেদের বাচাঁনোর সময় ছিল না।’ তিনি আরও জানান, তার চাচা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাকে বের করেও আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

তাফেঘাগ গ্রামের কারো কাছে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার মতো সরঞ্জাম নেই। বাইরে থেকেও কোনো সহযোগিতা আসেনি।

হাসান জানান, মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক সহায়তার সব প্রস্তাব গ্রহণ করা। এ বিষয়ে ভয় বা অহংকার কাটিয়ে উঠতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবদুর রহমান ভূমিকম্পে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে হারিয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় পেট্রোল স্টেশনে কাজ করেছিলেন তিনি।

মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাহ হানে দেশটিতে। এমন ভয়াবহতা গত ১০০ বছরেও দেখেনি দেশটির মানুষ। বিশেষজ্ঞরা এটিকে এ অঞ্চলের ১২০ বছরেরও মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে আখ্যা দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান

মরক্কোয় ভয়াবহ: এক গ্রামের অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি

আপডেট সময় ০১:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শক্তিশালী ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার বিধ্বস্ত হয়েছে । এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই হাজার ১২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ দুই হাজার চার শতাধিক।

এদিকে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে মরক্কোর আটলাস পর্বতমালার তাফেঘাগ নামের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা এখন হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধানী নয়তো মারা গেছে, সাংবাদিকদের এমনটা বলছিলেন ভুক্তভোগী হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ধ্বংসস্তূপের ওপরে উঠছিলাম, তখন বুঝতে পেরেছিলাম এখান থেকে কেউ অক্ষত অবস্থায় বের হতে পারবে না।’

ভূমিকম্পের আঘাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তাদের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির ইট বা পাথর কোনোটিই অক্ষত নেই। ২০০ বাসিন্দার মধ্যে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।

হাসান বলেন, ‘আক্রান্তদের পালানোর সুযোগ ছিল না। নিজেদের বাচাঁনোর সময় ছিল না।’ তিনি আরও জানান, তার চাচা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাকে বের করেও আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

তাফেঘাগ গ্রামের কারো কাছে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার মতো সরঞ্জাম নেই। বাইরে থেকেও কোনো সহযোগিতা আসেনি।

হাসান জানান, মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক সহায়তার সব প্রস্তাব গ্রহণ করা। এ বিষয়ে ভয় বা অহংকার কাটিয়ে উঠতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবদুর রহমান ভূমিকম্পে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে হারিয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় পেট্রোল স্টেশনে কাজ করেছিলেন তিনি।

মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাহ হানে দেশটিতে। এমন ভয়াবহতা গত ১০০ বছরেও দেখেনি দেশটির মানুষ। বিশেষজ্ঞরা এটিকে এ অঞ্চলের ১২০ বছরেরও মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে আখ্যা দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি