ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় ভারাটিয়া কতৃক বাড়িওয়ালা সন্ত্রাসী হামলার শিকার। জাসদ একত্রিত করতে মাঠে আসছেন জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবে বিজিবি- কর্নেল রেজাউল কবির ৭৪ বোতল‌ চোলাইমদ সহ মিঠাপুকুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষ অব্যাহত পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করে কাজ পান স্বস্তিকা

ফের শুরু সিলেটের সকল বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি

পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।

এ অবস্থায় বুধবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।

সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি সহ-সভাপতি সানোয়া হোসেন ছেনু বলেন, কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রোববার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজকে থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, যে কোন সিদ্ধান্তই আমাদের সাথে আলোচনা করে নেয়া ভালো। হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।

এব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, এসেমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেয়া হয়েছিলো। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুণর্বিবেচনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরো ১২টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ফের শুরু সিলেটের সকল বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি

আপডেট সময় ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।

এ অবস্থায় বুধবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।

সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি সহ-সভাপতি সানোয়া হোসেন ছেনু বলেন, কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রোববার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজকে থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, যে কোন সিদ্ধান্তই আমাদের সাথে আলোচনা করে নেয়া ভালো। হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।

এব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, এসেমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেয়া হয়েছিলো। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুণর্বিবেচনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরো ১২টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।