ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

শ্রতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে অদম্য এক পরীক্ষার্থী

অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী অরিত্র ইশতিয়াক আলম। ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছানো যায় এটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সে অন্ধত্বকে বাঁধা মনে না করে স্পিকারে শুনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) সকালে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় অরিত্র ইশতিয়াক আলম। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে।
জানাগেছে, আজ এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এসজে) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন অরিত্র ইশতিয়াক আলম। পরে সে হলরুমের বেঞ্চে বসে মুখে বলে দিচ্ছে তার হয়ে পাশে বাসা শ্রুতি লেখক দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস পরীক্ষার খাতার উত্তর লিখে দিচ্ছে।
ইশতিয়াক আলম অরিত্রর পিতা ফিরোজ আলম মৃধা জানান, আমার ছেলে জন্ম থেকেই একটু চোখে কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিলো। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পরে তার ডান চোখে সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এতো সমস্যা থাকার পরেও তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। সে চোখে দেখতে পায় না তাই একজন শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র একজন মেধাবী ছাত্র, সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কার পেয়েছে। সে তার অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে।
মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ আলী মোল্যা জানান, অরিত্র শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশ নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। তার এই ইচ্ছা শক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে। তিনি আরও জানান, এবারের অনুষ্ঠিতত্ব এইচ এসসি পরিক্ষা সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ও সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে মোট ১৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

শ্রতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে অদম্য এক পরীক্ষার্থী

আপডেট সময় ০৪:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী অরিত্র ইশতিয়াক আলম। ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছানো যায় এটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সে অন্ধত্বকে বাঁধা মনে না করে স্পিকারে শুনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) সকালে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় অরিত্র ইশতিয়াক আলম। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে।
জানাগেছে, আজ এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এসজে) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন অরিত্র ইশতিয়াক আলম। পরে সে হলরুমের বেঞ্চে বসে মুখে বলে দিচ্ছে তার হয়ে পাশে বাসা শ্রুতি লেখক দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস পরীক্ষার খাতার উত্তর লিখে দিচ্ছে।
ইশতিয়াক আলম অরিত্রর পিতা ফিরোজ আলম মৃধা জানান, আমার ছেলে জন্ম থেকেই একটু চোখে কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিলো। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পরে তার ডান চোখে সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এতো সমস্যা থাকার পরেও তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। সে চোখে দেখতে পায় না তাই একজন শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র একজন মেধাবী ছাত্র, সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কার পেয়েছে। সে তার অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে।
মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ আলী মোল্যা জানান, অরিত্র শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশ নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। তার এই ইচ্ছা শক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে। তিনি আরও জানান, এবারের অনুষ্ঠিতত্ব এইচ এসসি পরিক্ষা সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ও সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে মোট ১৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে।