শেরপুর সদর উপজেলার বলায়েরচর ইউনিয়নের রামেরচরে কৃষক কবজ উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন প্রধান আসামি রামেরচর সরকারবাড়ীর মোঃ আমির হকের ছেলে মোঃ লিটন মিয়া (২৫) ও তার সহযোগী একই গ্রামের মৃত আঃ করিমের ছেলে মোঃ নাছির মিয়া (৩৫) এবং মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ শরিফ মিয়া (৩৫)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ জুলাই রাতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানাধীন ডাঙ্গাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি টিম। শেরপুর সদর থানার মামলায় ধৃত আসামিদেরকে থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে। আজ ভোরে র্যাব-১৪ এর দেয়া প্রেস রিলিজে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ সহ নানা বিষয়ে ওই গ্রামের আকন্দবাড়ী ও সরকার বাড়ীর লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিলো। ইতিপূর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ এবং উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। গত ১৬ জুলাই ভিকটিম কবজ উদ্দিনকে মারপিটের ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মোঃ মিষ্টার মেম্বার বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে (মামলা নং-৪৭)। গত ২৬ জুলাই রাত ১০ টার দিকে ভিকটিম রামেরচর ছনবাজারে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন রাত থেকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ২৭ জুলাই সকাল ৭ টার দিকে ছনবাজারের পাশে জনৈক জয়নাল আবেদীনের সবজি ক্ষেতে কবজ উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। ওই ঘটনায় মোছাঃ মরিয়ম বেগম (৫০) বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং-৭২) দাখিল করেন। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।