জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হাজারো শিষ্য ভক্ত বৃন্দের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে কিশোর গঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রীশ্রী নারায়নণ গোস্বামীর দিল্লীর আখড়ার প্রয়াত সেবায়েত শ্রী নারায়ণ দাস গোস্বামীর পারলৌকিক মহোৎসব ক্রিয়া ও আখড়া প্রতিষ্ঠানের মোহান্ত গোসাঁই নির্ধারণ।
৩০ জুলাই রবিবার প্রথম দিনে পালিত হয় অধিবাস, এ উপলক্ষে আখড়া প্রাঙ্গনে দিন ব্যাপী হরি নাম সংকীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়, এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিষ্য ও ভক্তবৃন্দ এবং বিভিন্ন আখড়ার সাধু গুরু বৈষ্ণব গন সহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ গ্রহন করেন। ৩১ জুলাই সোম বার অনুষ্ঠিত হয়েছে মহোৎসব ক্রিয়া।
সেই সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্ধারিত হয়েছেন আখড়ার পরবর্তী সেবায়েত। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্ব সম্মতি ক্রমে আখড়ার সেবায়েত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন শ্রী অনন্ত দাস গোস্বামী।
সকলের উপস্থিতিতে মোহান্ত টিকা প্রদান করেন বিথঙ্গল বড় আখড়ার মোহান্ত শ্রী সুকুমার দাস গোসাঁই।
হিন্দু ধর্মের অন্যান্য শাখায় সমাজের ধার্মিক সচেতন ও বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে আখড়া প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও নেতা নির্ধারন করা হয়ে থাকে। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোস্বামীর চিরচারিত নিয়ম অনুযায়ী সংসার ধর্ম গ্রহণ না করার শর্তে জন্মগত সকল কিছুর মায়া পরিত্যাগ করে পৃথিবীর সকল সৃষ্টির সেবক ও বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক হিসেবে ধর্মীয় সকল দায়িত্ব পালনে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে হয় উদাসী বৈষ্ণব গনকে, এমন একজন বিশেষ তপস্বীকে মোহান্ত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।