ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরহানউদ্দিনে স্বর্ন ও নগদ টাকা চুরির দায়ে গৃহকর্মী আটক

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২৪.৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হওয়া কাজের বুয়া (গৃহকর্মী) ইয়াসমিন বেগমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান এর নির্দেশে বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করীম রাজিব এর তত্ত্বাবধানে এসআই মানিক লাল ও এসআই মনি সহ সঙ্গীয় ফোর্স গ্রেফতার করেন।

রোববার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার (৩১ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাদী তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে এ স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

ইয়াসমিন বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী।

বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল করীম রাজিব জানান, আসামি ইয়াসমিন বাদী তাসলিমা বেগমের কাজের বুয়া ছিলেন। ১৭ দিন ধরে তিনি সেই বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করেছিলেন।

শনিবার দুপুরে কাজ করতে গিয়ে তাসলিমা বেগমের ঘরের আলমারির নিচে থাকা ২৪.৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ইয়াসমিন চলে যায়। যাঁর মধ্যে ছিল ২.৫ ভরি ওজনের ৩টি চেইন, ৭ ভরি ওজনের ১৩ জোড়া কানের দুল, ৬ ভরি ওজনের ২টি নেকলেস, ৪ ভরি ওজনের ২ জোড়া রুলী, ২৭টি আংটি, ৫ আনা ওজনের ১টি ব্রেসলেট। যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বাদী তাসলিমা বেগম ঘরে স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি দেখতে না পেয়ে প্রথমে ইয়াসমিনকে জিজ্ঞেসাবাদ করেছিল। কিন্তু ইয়াসমিন চুরির বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করেনি। এরপর শনিবার রাতে বাদী অজ্ঞাননামা আসামি উল্লেখ করে থানায় একটি চুরির মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বাড়ির বাগানের মধ্য থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি উদ্ধার করে দেন।

এরপর বাদীর দায়েরকৃত মামলায় ইয়াসমিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে স্বর্ন ও নগদ টাকা চুরির দায়ে গৃহকর্মী আটক

আপডেট সময় ০৮:৩০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২৪.৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হওয়া কাজের বুয়া (গৃহকর্মী) ইয়াসমিন বেগমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান এর নির্দেশে বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করীম রাজিব এর তত্ত্বাবধানে এসআই মানিক লাল ও এসআই মনি সহ সঙ্গীয় ফোর্স গ্রেফতার করেন।

রোববার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার (৩১ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাদী তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে এ স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

ইয়াসমিন বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী।

বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল করীম রাজিব জানান, আসামি ইয়াসমিন বাদী তাসলিমা বেগমের কাজের বুয়া ছিলেন। ১৭ দিন ধরে তিনি সেই বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করেছিলেন।

শনিবার দুপুরে কাজ করতে গিয়ে তাসলিমা বেগমের ঘরের আলমারির নিচে থাকা ২৪.৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ইয়াসমিন চলে যায়। যাঁর মধ্যে ছিল ২.৫ ভরি ওজনের ৩টি চেইন, ৭ ভরি ওজনের ১৩ জোড়া কানের দুল, ৬ ভরি ওজনের ২টি নেকলেস, ৪ ভরি ওজনের ২ জোড়া রুলী, ২৭টি আংটি, ৫ আনা ওজনের ১টি ব্রেসলেট। যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বাদী তাসলিমা বেগম ঘরে স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি দেখতে না পেয়ে প্রথমে ইয়াসমিনকে জিজ্ঞেসাবাদ করেছিল। কিন্তু ইয়াসমিন চুরির বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করেনি। এরপর শনিবার রাতে বাদী অজ্ঞাননামা আসামি উল্লেখ করে থানায় একটি চুরির মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বাড়ির বাগানের মধ্য থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি উদ্ধার করে দেন।

এরপর বাদীর দায়েরকৃত মামলায় ইয়াসমিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।