ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ সাপাহারে দাফনের পাঁচ বছর পর কবরে অক্ষত লাশ

নওগাঁর সাপাহারে দাফন কাফনের দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কবরে অক্ষত লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে উপজেলার গোডউনপাড়া শিমুলতলীর মৃত্যু জাফর আলীর ছেলে সহিদুল ইসলাম (৪৬) গত ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে ইন্তেকাল করেন। শিমুলতলী গ্রামের কবরস্থানে তা র দাফন করা হয়।

মৃত্যু সহিদুল ইসলামের সহোদর ভাই আনসারুল ও নজরুল জানান, প্রায় ৪ বছর ৭ মাস পর অতি বর্ষনের কারনে কবরটি ধ্বসে যায় । গত ৩০ জুলাই রোববার বিকেলে গ্রামের কিছু লোক ওই কবরস্থানে গিয়ে গরু ছাগলের জন্য ঘাস কাটার সময় ভাঙ্গা কবরের ভিতরে থাকা লাশের কাফনের কাপড় অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান।

বিষয়টি মৃত্যু ব্যক্তির পরিবার পরিজন রাতের বেলা জানতে পারেন। পরদিন সোমবার সকালে তারা কবরস্থানে গিয়ে দেখেন যে লাশের শরীর অক্ষত দেখতে পায়। তবে কাফনের কাপড়টি সামান্য লালচে রং ধরেছে বলে তারা জানান। সকালে গ্রামের ধর্মপ্রান মুসল্লিগণের সহায়তায় কবরটি আবার নতুন করে বাঁশ দিয়ে পাটাতন তৈরী করে দেয়া হয়। মৃত্যের সহোদর ভাইগণ আরও জানান তাদের ভাই সহিদুল ইসলাম ধর্মপ্রাণ ও অত্যান্ত পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এদিকে ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কবরটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোকজন ওই কবর স্থানে ভিড় জমাচ্ছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁ সাপাহারে দাফনের পাঁচ বছর পর কবরে অক্ষত লাশ

আপডেট সময় ০৭:৪০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

নওগাঁর সাপাহারে দাফন কাফনের দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কবরে অক্ষত লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে উপজেলার গোডউনপাড়া শিমুলতলীর মৃত্যু জাফর আলীর ছেলে সহিদুল ইসলাম (৪৬) গত ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে ইন্তেকাল করেন। শিমুলতলী গ্রামের কবরস্থানে তা র দাফন করা হয়।

মৃত্যু সহিদুল ইসলামের সহোদর ভাই আনসারুল ও নজরুল জানান, প্রায় ৪ বছর ৭ মাস পর অতি বর্ষনের কারনে কবরটি ধ্বসে যায় । গত ৩০ জুলাই রোববার বিকেলে গ্রামের কিছু লোক ওই কবরস্থানে গিয়ে গরু ছাগলের জন্য ঘাস কাটার সময় ভাঙ্গা কবরের ভিতরে থাকা লাশের কাফনের কাপড় অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান।

বিষয়টি মৃত্যু ব্যক্তির পরিবার পরিজন রাতের বেলা জানতে পারেন। পরদিন সোমবার সকালে তারা কবরস্থানে গিয়ে দেখেন যে লাশের শরীর অক্ষত দেখতে পায়। তবে কাফনের কাপড়টি সামান্য লালচে রং ধরেছে বলে তারা জানান। সকালে গ্রামের ধর্মপ্রান মুসল্লিগণের সহায়তায় কবরটি আবার নতুন করে বাঁশ দিয়ে পাটাতন তৈরী করে দেয়া হয়। মৃত্যের সহোদর ভাইগণ আরও জানান তাদের ভাই সহিদুল ইসলাম ধর্মপ্রাণ ও অত্যান্ত পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এদিকে ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কবরটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোকজন ওই কবর স্থানে ভিড় জমাচ্ছেন।