ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় পুলিশ-বিএনপি ও আ’লী ত্রিমুখী সংঘর্ষ – আহত- ১৫

রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ-বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিক্ষোভ মিছিল, ককটেল বিস্ফোরন, আহত এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কমপক্ষে ১০/১৫ আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানী উত্তরার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে হঠাৎ করে বিএনপির একটি ঝটিকা মিছিল রাস্তায় বের করা হয়।

এসময় আব্দুল্লাহপুর মালেকাবানু বিদ্যানিকেতন সামনে রাস্তার পূর্ব পাশে আওয়ামীলীগে একটি শান্তি মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশে অবস্হান নিচিছল।

এসময় বিএনপির মিছিলটি বিএনএস সেন্টারের দিকে যাচিছল,তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের রাস্তায় দেখতে পেয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিলকারীরা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত নিয়ে ধাওয়া করলে তারা প্রথমে পিছু হটে।

প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতাদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধেঁ যায়,কিছুক্ষন উভয় দলের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দল দেশীঅস্ত, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করতে দেখা গেছে,সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কমপক্ষে ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে, এ ঘটনার পর উত্তরায় বিএনএস সেন্টার এলাকা থেকে বিএনপিকর্মী সন্দেহে মো. আসাদুজ্জামান ও ফারুক ইসলাম নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা হঠাৎ বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন,এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়,জবাবে বিএনপি কর্মীরা বলেন, তারা সড়ক অবরোধ করবেন না।

সড়কের একপাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন,বিএনপি নেতাকর্মীরা ও মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণপ আনতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল) আসাদুজ্জামান জানান, বিএনপি এখন অবস্থান কর্মসূচি পালন করার জন্য অনুমতি নেয়নি।

তাদের এখানে অবস্থানের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না,এখন পরিস্থিতিতে বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

\১১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিএনএস সেন্টারের এক কর্নারে নিয়ে আসে,তারা সেখানে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সড়কটিতে ২০ মিনিট ধরে যান চলাচল বন্ধ আছে,উত্তরায় সংঘর্ষ চলছে বিএনপি কর্মীরা দখলে নিয়েছে সড়ক, বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিচ্ছেন।

অপর দিকে, এঘটনার আগে উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিল।

মারামার ও সংঘর্ষের ঘটনার পর ঢাকা-১৮ আসনের এমপি আলহাজ্ব হাবিব হাসানের নেতৃত্ব আব্দুল্লাহ থেকে হাউজ বিল্ডিং একটি মিছিল শহরে বের করা হয়।

সেখানে মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্হানীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও বীরমুক্তিযুদ্বা আলহাজ মো: তোফাজ্জল হোসেন, বীরমুক্তিযুদ্বা কুতুবুর রহমান, এডভোকেট মোঃ আনিসুর রহমান, মহিবুল হাসান, আলহাজ্ব মো: আফসার উদ্দীন খান, বীরমুক্তিযুদ্বা আলহাজ মো: নাসির উদ্দীন, আলহাজ মো: নাজিম উদ্দীন, মো: নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ, মো: মুনসুর আলী, আলহাজ মো: কফিল উদ্দীন মেম্বার, আতিকুল ইসলাম মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মো: মামুন সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ সাদেকুর রহমান, মো: জজ মিয়া, তৈয়্যাবুর রহমান ও মো : নবীন হোসেন, প্রমুখ।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় পুলিশ-বিএনপি ও আ’লী ত্রিমুখী সংঘর্ষ – আহত- ১৫

আপডেট সময় ০৮:৫৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ-বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিক্ষোভ মিছিল, ককটেল বিস্ফোরন, আহত এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কমপক্ষে ১০/১৫ আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানী উত্তরার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে হঠাৎ করে বিএনপির একটি ঝটিকা মিছিল রাস্তায় বের করা হয়।

এসময় আব্দুল্লাহপুর মালেকাবানু বিদ্যানিকেতন সামনে রাস্তার পূর্ব পাশে আওয়ামীলীগে একটি শান্তি মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশে অবস্হান নিচিছল।

এসময় বিএনপির মিছিলটি বিএনএস সেন্টারের দিকে যাচিছল,তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের রাস্তায় দেখতে পেয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিলকারীরা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত নিয়ে ধাওয়া করলে তারা প্রথমে পিছু হটে।

প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতাদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধেঁ যায়,কিছুক্ষন উভয় দলের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দল দেশীঅস্ত, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করতে দেখা গেছে,সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কমপক্ষে ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে, এ ঘটনার পর উত্তরায় বিএনএস সেন্টার এলাকা থেকে বিএনপিকর্মী সন্দেহে মো. আসাদুজ্জামান ও ফারুক ইসলাম নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা হঠাৎ বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন,এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়,জবাবে বিএনপি কর্মীরা বলেন, তারা সড়ক অবরোধ করবেন না।

সড়কের একপাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন,বিএনপি নেতাকর্মীরা ও মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণপ আনতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল) আসাদুজ্জামান জানান, বিএনপি এখন অবস্থান কর্মসূচি পালন করার জন্য অনুমতি নেয়নি।

তাদের এখানে অবস্থানের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না,এখন পরিস্থিতিতে বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

\১১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিএনএস সেন্টারের এক কর্নারে নিয়ে আসে,তারা সেখানে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সড়কটিতে ২০ মিনিট ধরে যান চলাচল বন্ধ আছে,উত্তরায় সংঘর্ষ চলছে বিএনপি কর্মীরা দখলে নিয়েছে সড়ক, বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিচ্ছেন।

অপর দিকে, এঘটনার আগে উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিল।

মারামার ও সংঘর্ষের ঘটনার পর ঢাকা-১৮ আসনের এমপি আলহাজ্ব হাবিব হাসানের নেতৃত্ব আব্দুল্লাহ থেকে হাউজ বিল্ডিং একটি মিছিল শহরে বের করা হয়।

সেখানে মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্হানীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও বীরমুক্তিযুদ্বা আলহাজ মো: তোফাজ্জল হোসেন, বীরমুক্তিযুদ্বা কুতুবুর রহমান, এডভোকেট মোঃ আনিসুর রহমান, মহিবুল হাসান, আলহাজ্ব মো: আফসার উদ্দীন খান, বীরমুক্তিযুদ্বা আলহাজ মো: নাসির উদ্দীন, আলহাজ মো: নাজিম উদ্দীন, মো: নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ, মো: মুনসুর আলী, আলহাজ মো: কফিল উদ্দীন মেম্বার, আতিকুল ইসলাম মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মো: মামুন সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ সাদেকুর রহমান, মো: জজ মিয়া, তৈয়্যাবুর রহমান ও মো : নবীন হোসেন, প্রমুখ।