ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের মূল আসামি আটক

লালমনিরহাট জেলা সদরের এয়ারপোর্ট এলাকার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফারুক (৩০) কে ঢাকার ফতুল্লাহ হতে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) মূল আসামি ফারুক (৩০) কে পাঁচ দিন চেষ্টা চালিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ থেকে তাকে আটক করা হয়।
লালমনিরহাটের সদর থানার তদন্ত ওসি স্বপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সরকারি মজিদা খাতুন মহাবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কয়েক দিন পূর্বে শহরের অদুরে পরিত্যক্ত এয়ারপোর্টে কৌশলে ডেকে নিয়ে দূর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক ঝোপের আড়ালে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এই গণ ধর্ষণের ঘটনায় মুল আসামী ফারুক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম করার পরে কৌশলে ডেকে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে ওই কলেজ ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় সোয়াইব সরকার সজীব (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে  পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম। গ্রেফতার সোয়াইব সরকার সজীব সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের আমবাড়ি এয়ারপোর্ট এলাকার কাশেম আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিমানবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সোহাগ নামে এক যুবক লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে এয়ারপোর্টে দেখা করতে মোবাইলে কলেজছাত্রীকে ডেকে নেন কথিত প্রেমিক সোহাগ।
সেখানে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন সোহাগ। এরই মধ্যে সোহাগের দুই বন্ধু সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহাগ সরে দাঁড়ান এবং তার দুই বন্ধুও কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়।
রাত হলেও কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে কল করলে সে বাঁচানোর আকুতি জানায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ঠিকানাহীন কথিত প্রেমিক সোহাগের মোবাইল নম্বর দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজছাত্রীর বড় বোন। এ মামলায় সদর থানা পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে সোয়াইব সরকার সজীব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ যাবত গণধর্ষণের মামলায় ৪ জন আসামি আটক করা হয়েছে, বাকী আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের মূল আসামি আটক

আপডেট সময় ০৮:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
লালমনিরহাট জেলা সদরের এয়ারপোর্ট এলাকার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফারুক (৩০) কে ঢাকার ফতুল্লাহ হতে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) মূল আসামি ফারুক (৩০) কে পাঁচ দিন চেষ্টা চালিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ থেকে তাকে আটক করা হয়।
লালমনিরহাটের সদর থানার তদন্ত ওসি স্বপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সরকারি মজিদা খাতুন মহাবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কয়েক দিন পূর্বে শহরের অদুরে পরিত্যক্ত এয়ারপোর্টে কৌশলে ডেকে নিয়ে দূর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক ঝোপের আড়ালে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এই গণ ধর্ষণের ঘটনায় মুল আসামী ফারুক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম করার পরে কৌশলে ডেকে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে ওই কলেজ ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় সোয়াইব সরকার সজীব (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে  পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম। গ্রেফতার সোয়াইব সরকার সজীব সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের আমবাড়ি এয়ারপোর্ট এলাকার কাশেম আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিমানবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সোহাগ নামে এক যুবক লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে এয়ারপোর্টে দেখা করতে মোবাইলে কলেজছাত্রীকে ডেকে নেন কথিত প্রেমিক সোহাগ।
সেখানে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন সোহাগ। এরই মধ্যে সোহাগের দুই বন্ধু সেখানে উপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহাগ সরে দাঁড়ান এবং তার দুই বন্ধুও কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়।
রাত হলেও কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে কল করলে সে বাঁচানোর আকুতি জানায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ঠিকানাহীন কথিত প্রেমিক সোহাগের মোবাইল নম্বর দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজছাত্রীর বড় বোন। এ মামলায় সদর থানা পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে সোয়াইব সরকার সজীব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ যাবত গণধর্ষণের মামলায় ৪ জন আসামি আটক করা হয়েছে, বাকী আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।