ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরের নলডাঙ্গায় জনসাধারণের প্রশংসায় ভাসছেন ওসি আবুল কালাম

নাটোরের নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আবুল কালাম নানা উদ্যোগ আর সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছেন।ইতোমধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগে তিনি জনগণের আস্থা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

বিশ্বের উন্নত দেশের জনগণ বিপদে-আপদে পুলিশকে পরম বন্ধু হিসাবে দেখে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুলিশও যে জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে সেই প্রত্যয়ে তিনি জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

যদিও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পুলিশ কতটা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি মাঝে-মধ্যে ক্ষুণ্ণও হচ্ছে। তবে পুলিশের এমনও কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে অসহায় জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নলডাঙ্গা থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম।

অন্যদের সামনে নিজেকে ওসি হিসাবে পরিচয় না দিয়ে জনগণের একজন সেবক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। এভাবেই অতি সাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা

জানা যায়, ওসি মোঃ আবুল কালাম প্রায় ১০ মাস যাবত নলডাঙ্গা থানায় যোগদান করে আসছেন। যোগদানের পরপরই তিনি জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অতি পরিচিত একজন মানুষ। এর আগে তিনি পাবনা জেলায় কর্মরত ছিলেন। চাকরি জীবনে উজ্জ্বল সফলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি।

যোগদানের পরপরই নলডাঙ্গা থানাকে দালালমুক্ত ও মাদকমুক্ত থানা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।এরই মধ্যে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা দিয়ে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। এমনকি অভিযানে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ও সাথে সাথে আসামিদের ছবি ও অপরাধসহ সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রকাশ করে জনগণকে জানিয়ে দেন তিনি।

তার ব্যতিক্রমী আরও উদ্যোগ হলো- থানায় মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, নলডাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার, স্কুল-কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি সভা, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাবেশ। কোনো মহল থেকে প্রভাবিত না হয়েই ন্যায়সঙ্গত কাজ করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

ওসি মোঃ আবুল কালাম বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে চান। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে মিলে কাজ করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় নলডাঙ্গা একটি সুসজ্জিত, সু-শৃঙ্খল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তার।

এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম “দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি ” কে বলেন, ‘আমি এই থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় কোনো সন্ত্রাস ও মাদক থাকতে পারবে না। মাদকের সঙ্গে জীবনে কখনো আপস করিনি, আর করব না। তবে মাদক পুরোপুরি নির্মূল করতে সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজ থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ সকল অপকর্ম দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এরই মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তব রূপ পাবে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের নলডাঙ্গায় জনসাধারণের প্রশংসায় ভাসছেন ওসি আবুল কালাম

আপডেট সময় ০২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

নাটোরের নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আবুল কালাম নানা উদ্যোগ আর সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছেন।ইতোমধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগে তিনি জনগণের আস্থা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

বিশ্বের উন্নত দেশের জনগণ বিপদে-আপদে পুলিশকে পরম বন্ধু হিসাবে দেখে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুলিশও যে জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে সেই প্রত্যয়ে তিনি জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

যদিও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পুলিশ কতটা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি মাঝে-মধ্যে ক্ষুণ্ণও হচ্ছে। তবে পুলিশের এমনও কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে অসহায় জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নলডাঙ্গা থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম।

অন্যদের সামনে নিজেকে ওসি হিসাবে পরিচয় না দিয়ে জনগণের একজন সেবক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। এভাবেই অতি সাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা

জানা যায়, ওসি মোঃ আবুল কালাম প্রায় ১০ মাস যাবত নলডাঙ্গা থানায় যোগদান করে আসছেন। যোগদানের পরপরই তিনি জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অতি পরিচিত একজন মানুষ। এর আগে তিনি পাবনা জেলায় কর্মরত ছিলেন। চাকরি জীবনে উজ্জ্বল সফলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি।

যোগদানের পরপরই নলডাঙ্গা থানাকে দালালমুক্ত ও মাদকমুক্ত থানা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।এরই মধ্যে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা দিয়ে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। এমনকি অভিযানে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ও সাথে সাথে আসামিদের ছবি ও অপরাধসহ সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রকাশ করে জনগণকে জানিয়ে দেন তিনি।

তার ব্যতিক্রমী আরও উদ্যোগ হলো- থানায় মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, নলডাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার, স্কুল-কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি সভা, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাবেশ। কোনো মহল থেকে প্রভাবিত না হয়েই ন্যায়সঙ্গত কাজ করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

ওসি মোঃ আবুল কালাম বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে চান। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে মিলে কাজ করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় নলডাঙ্গা একটি সুসজ্জিত, সু-শৃঙ্খল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তার।

এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম “দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি ” কে বলেন, ‘আমি এই থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় কোনো সন্ত্রাস ও মাদক থাকতে পারবে না। মাদকের সঙ্গে জীবনে কখনো আপস করিনি, আর করব না। তবে মাদক পুরোপুরি নির্মূল করতে সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজ থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ সকল অপকর্ম দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এরই মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তব রূপ পাবে।