ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুর ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টু!

জেলার অন্যতম উপজেলা রামগঞ্জ। এটি হচ্ছে জেলার সংসদীয় আসন-১। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টুও আছে এই দৌড়ে।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ১৯৫৯ সালে ২৯ শে মে রামগঞ্জ উপজেলা ভাটরা ইউনিয়ন পাঁচরুখি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল হক মিয়া। ১৯৫২ সালে বিএ পাস করেন। তিনি প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতিক বিষয়ে ও এমএসএস রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং এলএলবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। মাহমুদ পিন্টু ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সভাপতি। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আইনজীবী পরিষদের নির্বাহী সদস্য। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সহ-সম্পাদক আইন উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দপ্তর সম্পাদক ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগ। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সম্পাদক ঢাকা ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ১/১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার রজুকৃত সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আওয়ামী লীগ আইনজীবী প্যানেলে একজন আইনজীবী হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পিন্টু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন বিষয়ক সেমিনার। বাণিজ্য মেলা বিশেষ করে মালয়েশিয়া, হংকং, আমেরিকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র সফর করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হয়ে। এছাড়া বাংলাদেশ চায়না বন্ধুত্ব প্রতিনিধি টিমের একজন সদস্য হিসাবে গনচীন সফর করেন চীন সরকারের আমন্ত্রণে। ২০০৭ সালে নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কনভেনশনে অস্ট্রেলিয়ায় যোগদান করেন।

তার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতির ৫ বার সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা যুব কল্যাণ সমিতির দুইবার সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তিন মেয়াদে দলটা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তিন মেয়াদ টিউরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোলা কোট সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শফিক মাহমুদ পিন্টু লক্ষীপুর রামগঞ্জে বিভিন্ন আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

পিন্টু বলেন, জীবনে সকল সময়ে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি রামগঞ্জকে উন্নয়নমুখী সামাজিক ব্যবস্থা স্মার্ট ও ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে করে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় শান্তি সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। রামগঞ্জের জনগণের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা আমাকে নিয়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একটি সুখী সমৃদ্ধ রামগঞ্জ উপজেলা গড়ে তুলবো।

শফিক মাহমুদ পিন্টু বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুর ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টু!

আপডেট সময় ০২:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

জেলার অন্যতম উপজেলা রামগঞ্জ। এটি হচ্ছে জেলার সংসদীয় আসন-১। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টুও আছে এই দৌড়ে।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ১৯৫৯ সালে ২৯ শে মে রামগঞ্জ উপজেলা ভাটরা ইউনিয়ন পাঁচরুখি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল হক মিয়া। ১৯৫২ সালে বিএ পাস করেন। তিনি প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতিক বিষয়ে ও এমএসএস রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং এলএলবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। মাহমুদ পিন্টু ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সভাপতি। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আইনজীবী পরিষদের নির্বাহী সদস্য। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সহ-সম্পাদক আইন উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দপ্তর সম্পাদক ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগ। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সম্পাদক ঢাকা ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

শফিক মাহমুদ পিন্টু ১/১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার রজুকৃত সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আওয়ামী লীগ আইনজীবী প্যানেলে একজন আইনজীবী হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পিন্টু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন বিষয়ক সেমিনার। বাণিজ্য মেলা বিশেষ করে মালয়েশিয়া, হংকং, আমেরিকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র সফর করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হয়ে। এছাড়া বাংলাদেশ চায়না বন্ধুত্ব প্রতিনিধি টিমের একজন সদস্য হিসাবে গনচীন সফর করেন চীন সরকারের আমন্ত্রণে। ২০০৭ সালে নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কনভেনশনে অস্ট্রেলিয়ায় যোগদান করেন।

তার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতির ৫ বার সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা যুব কল্যাণ সমিতির দুইবার সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তিন মেয়াদে দলটা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তিন মেয়াদ টিউরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোলা কোট সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শফিক মাহমুদ পিন্টু লক্ষীপুর রামগঞ্জে বিভিন্ন আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

পিন্টু বলেন, জীবনে সকল সময়ে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি রামগঞ্জকে উন্নয়নমুখী সামাজিক ব্যবস্থা স্মার্ট ও ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে করে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় শান্তি সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। রামগঞ্জের জনগণের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা আমাকে নিয়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একটি সুখী সমৃদ্ধ রামগঞ্জ উপজেলা গড়ে তুলবো।

শফিক মাহমুদ পিন্টু বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।