ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে বহুল প্রতীক্ষার জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্ততি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন,আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা রংপুর থেকে শুরু করবেন। এদিকে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভার আয়োজনকে কেন্দ্র করে পুরো রংপুর বিভাগ জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব,বেড়েছে নেতা কর্মীদের কর্ম চাঞ্চল্যতা। যেখানে ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা গেছে,জনসভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এই জনসভা কে কেন্দ্র করে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৫৮টি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৪হাজার করে লোক আনার পরিকল্পনা করছেন নেতাকর্মীরা।ইতোমধ্যেই জনসভা সফল করার লক্ষ্যে,আওয়ামী লীগ সহ অন্য সহযোগী সংগঠনের বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় ৪জন মন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভা সফল করতে কাজ চলছে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলছেন,বর্তমান সরকারের সময়ে রংপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে রংপুর বিভাগ,সিটি কর্পোরেশন,মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরের উদ্বোধন করেছেন।রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,মেরিন একাডেমী, উপজেলাগুলোতে কারিগরিব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ সহ নানান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।

এলেঙ্গা টু রংপুর- ৬ লেন মহাসড়কের কাজ চলমান। পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী,মেরিন একাডেমি,আদালতের বহুতল ভবন,সিভিল সার্জনের নতুন ভবন,পুলিশ সুপার কার্যালয়,বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স,জেলা শিল্পকলা একাডেমী,রংপুর শিশু হাসপাতাল,পুলিশ হাসপাতাল,আধুনিক পুলিশ লাইন্স,অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন।

বিগত ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি এই জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের এক জনসভায় শেখ হাসিনা রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।সেই থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আর উন্নয়নের মোড়কে মঙ্গাপীড়িত রংপুর বদলে গেছে।বর্তমানে শিক্ষা, চিকিৎসা,ব্যবসা বাণিজ্য সহ নানান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য রংপুর এখন গোটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এত উন্নয়নের পরেও দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ রংপুর বাসীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই জনসভা সফল করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে বহুল প্রতীক্ষার জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্ততি

আপডেট সময় ১২:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন,আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা রংপুর থেকে শুরু করবেন। এদিকে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভার আয়োজনকে কেন্দ্র করে পুরো রংপুর বিভাগ জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব,বেড়েছে নেতা কর্মীদের কর্ম চাঞ্চল্যতা। যেখানে ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা গেছে,জনসভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এই জনসভা কে কেন্দ্র করে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৫৮টি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৪হাজার করে লোক আনার পরিকল্পনা করছেন নেতাকর্মীরা।ইতোমধ্যেই জনসভা সফল করার লক্ষ্যে,আওয়ামী লীগ সহ অন্য সহযোগী সংগঠনের বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় ৪জন মন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভা সফল করতে কাজ চলছে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলছেন,বর্তমান সরকারের সময়ে রংপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে রংপুর বিভাগ,সিটি কর্পোরেশন,মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরের উদ্বোধন করেছেন।রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,মেরিন একাডেমী, উপজেলাগুলোতে কারিগরিব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ সহ নানান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।

এলেঙ্গা টু রংপুর- ৬ লেন মহাসড়কের কাজ চলমান। পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী,মেরিন একাডেমি,আদালতের বহুতল ভবন,সিভিল সার্জনের নতুন ভবন,পুলিশ সুপার কার্যালয়,বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স,জেলা শিল্পকলা একাডেমী,রংপুর শিশু হাসপাতাল,পুলিশ হাসপাতাল,আধুনিক পুলিশ লাইন্স,অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন।

বিগত ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি এই জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের এক জনসভায় শেখ হাসিনা রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।সেই থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আর উন্নয়নের মোড়কে মঙ্গাপীড়িত রংপুর বদলে গেছে।বর্তমানে শিক্ষা, চিকিৎসা,ব্যবসা বাণিজ্য সহ নানান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য রংপুর এখন গোটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এত উন্নয়নের পরেও দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ রংপুর বাসীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই জনসভা সফল করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।