ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর সিটিহাটের প্রতারক চক্রের হোতা স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জন ঢাকায় গ্রেফতার।

রাজশাহী মহানগরী’র সিটি হাটে প্রতারক চক্রের স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে । আজ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো জিয়ারুল ইসলাম ওরফে সোহেল (৫৪), জিয়াসমিন (২৭), তৈয়ব আলী খা (৬০) ও লিটন খা (২৫)। জিয়ারুল মেহেরপুর জেলার সদর থানার নিশ্চিন্তপুরের মৃত মহরম আলীর ছেলে, তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদ থানার মুয়র ভিলা ১ নং গলির বাসিন্দা। জিয়ারুলের স্ত্রী জিয়াসমিন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার চর বাদশাপাড়ার মো: তৈয়ব আলীর মেয়ে, তৈয়ব আলী একই এলাকার মৃত কিনাই খা’র ছেলে ও তার ছেলে মো: লিটন খা। তারা বর্তমানে ঢাকার জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জিনজিরা বোরানিবাগ এলাকার বাসিন্দা।

নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বড়বাড়িয়া গ্রামের এজাজুল হকের ছেলে লিটন আলী ও গ্রেফতার জিয়ারুল ইসলাম ওরফে সোহেল গরু ব্যবসায়ী। গরু কেনাবেচা করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে জিয়ারুল বিভিন্ন সময় লিটনের কাছ থেকে বাকিতে গরু কিনে তিনি গরু বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে থাকে।

সর্বশেষ গত ২০ ২২সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫ টায় আসামি জিয়ারুল অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় শাহমখদুম থানার সিটি হাটে লিটনের কাছ থেকে ৭টি গরু এবং লিটনের পরিচিত লোকজনের কাছ থেকে আরও ৯টি গরু-সহ প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ্য টাকা মূল্যের মোট ১৬টি গরু বাকিতে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এছাড়া জিয়ারুল পূর্বের ৪ লক্ষ্য ৩৫ হাজার টাকা-সহ মোট ১৫ লক্ষ্য ৮৭ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তারা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। লিটনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়।

পরে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্ববধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেন, এসআই আব্দুল মতিন ও তার টিম দীর্ঘ প্রতিষ্ঠার পর গত ২৫শে জুলাই বিকাল সাড়ে ৫ টায় আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি জিয়াসমিন, তৈয়ব আলী খা ও লিটন খাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অপরাধ চক্রের মুল হোতা আসামি জিয়ারুল ইসলামকে একই তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানার মুয়র ভিলা ১ নং গলি হতে গ্রেফতার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিগণ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মো: ইয়ারুল ইসলাম ওরফে শুভ (২৪)কে গ্রেফতারপূর্বক গত ১২ জুলাই ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর সিটিহাটের প্রতারক চক্রের হোতা স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জন ঢাকায় গ্রেফতার।

আপডেট সময় ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

রাজশাহী মহানগরী’র সিটি হাটে প্রতারক চক্রের স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে । আজ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো জিয়ারুল ইসলাম ওরফে সোহেল (৫৪), জিয়াসমিন (২৭), তৈয়ব আলী খা (৬০) ও লিটন খা (২৫)। জিয়ারুল মেহেরপুর জেলার সদর থানার নিশ্চিন্তপুরের মৃত মহরম আলীর ছেলে, তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদ থানার মুয়র ভিলা ১ নং গলির বাসিন্দা। জিয়ারুলের স্ত্রী জিয়াসমিন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার চর বাদশাপাড়ার মো: তৈয়ব আলীর মেয়ে, তৈয়ব আলী একই এলাকার মৃত কিনাই খা’র ছেলে ও তার ছেলে মো: লিটন খা। তারা বর্তমানে ঢাকার জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জিনজিরা বোরানিবাগ এলাকার বাসিন্দা।

নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বড়বাড়িয়া গ্রামের এজাজুল হকের ছেলে লিটন আলী ও গ্রেফতার জিয়ারুল ইসলাম ওরফে সোহেল গরু ব্যবসায়ী। গরু কেনাবেচা করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে জিয়ারুল বিভিন্ন সময় লিটনের কাছ থেকে বাকিতে গরু কিনে তিনি গরু বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে থাকে।

সর্বশেষ গত ২০ ২২সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫ টায় আসামি জিয়ারুল অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় শাহমখদুম থানার সিটি হাটে লিটনের কাছ থেকে ৭টি গরু এবং লিটনের পরিচিত লোকজনের কাছ থেকে আরও ৯টি গরু-সহ প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ্য টাকা মূল্যের মোট ১৬টি গরু বাকিতে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এছাড়া জিয়ারুল পূর্বের ৪ লক্ষ্য ৩৫ হাজার টাকা-সহ মোট ১৫ লক্ষ্য ৮৭ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তারা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। লিটনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়।

পরে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্ববধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেন, এসআই আব্দুল মতিন ও তার টিম দীর্ঘ প্রতিষ্ঠার পর গত ২৫শে জুলাই বিকাল সাড়ে ৫ টায় আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি জিয়াসমিন, তৈয়ব আলী খা ও লিটন খাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অপরাধ চক্রের মুল হোতা আসামি জিয়ারুল ইসলামকে একই তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানার মুয়র ভিলা ১ নং গলি হতে গ্রেফতার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিগণ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মো: ইয়ারুল ইসলাম ওরফে শুভ (২৪)কে গ্রেফতারপূর্বক গত ১২ জুলাই ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।