ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়ায় ১৩টি পশ্চিমা মিশনের দূত ও কূটনীতিকদের ডেকে অসন্তোষ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের জানানো হয়েছে, হুট করে বিবৃতি প্রদানের মতো আচরণে বাংলাদেশ অসন্তুষ্ট হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হাজির হন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইইউর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া পশ্চিমা মিশনের এসব কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন শাহরিয়ার আলম।
পরে এ বিষয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ঢাকার যেসব দূতাবাস গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল তাদের দূতদের আমরা ডেকেছিলাম। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা তাদের বলেছি ওই নির্বাচনে সহিংসতা হয়নি। হিরো আলম সারাদিন সতীর্থদের সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্র অবাধে বিচরণ করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোট শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনিও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হননি বা কোনো অভিযোগ করেননি। অন্য প্রার্থীরাও কোনো ধরনের সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে গুটিকয়েক দূত যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করে না বলে আমরা তাদের জানিয়েছি। বলেছি, দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নের বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেননি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ত্বরিত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। ১৯ জুলাই দূতদের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরও এই দূতরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।