ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

আজ বেলা ১১টায় “এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সংগ্রাম পরিষদ, বাহুবল, হবিগঞ্জ”-এর ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপজেলার এমপিওভুক্ত ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

বাহুবল উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সংগঠনটির আহবায়ক ও মিরপুর ফয়জুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তাগন বলেন, “দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা; অথচ আমরাই মাত্রাহীন বৈষম্যের শিকার। দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসা শিক্ষকরা শুরুতে বেতন পান মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এ টাকায় কীভাবে সংসার চলে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।” তাঁরা বলেন, “এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নেই, বাড়ি ভাড়া দেয়া হয় ১০০০ টাকা আর চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। সরকারি চাকুরিজীবীরা যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা পান, সেখানে এমপিও শিক্ষকদের দেয়া হয় মাত্র ২৫℅। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? পেটে ভাত না থাকলে আনন্দের সাথে কাজ করা খুব কষ্টকর।

বক্তাগণ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছি। তিনি বিদেশে আছেন। দেশে ফিরলেই হয়ত কোনো সুখবর পাবো আমরা। তাই আজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।”

মানববন্ধনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো: আব্দুর রব, মিরপুর ফয়জুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমান, মানব কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মুজিবুর রহমান, ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম নোমান, শাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আইয়ুব আলী, ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: হুমায়ুন কবির তালুকদার, ফতেপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির তালুকদার, ভুলকোট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মানিক মিয়া। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, অচিরেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করনের দাবীতে চলমান অনশনে যোগ দিতে বাহুবল থেকে পর্যায়ক্রমে একেকটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করবে এবং জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৬:৩০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

আজ বেলা ১১টায় “এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সংগ্রাম পরিষদ, বাহুবল, হবিগঞ্জ”-এর ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপজেলার এমপিওভুক্ত ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

বাহুবল উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সংগঠনটির আহবায়ক ও মিরপুর ফয়জুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তাগন বলেন, “দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা; অথচ আমরাই মাত্রাহীন বৈষম্যের শিকার। দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসা শিক্ষকরা শুরুতে বেতন পান মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এ টাকায় কীভাবে সংসার চলে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।” তাঁরা বলেন, “এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নেই, বাড়ি ভাড়া দেয়া হয় ১০০০ টাকা আর চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। সরকারি চাকুরিজীবীরা যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা পান, সেখানে এমপিও শিক্ষকদের দেয়া হয় মাত্র ২৫℅। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? পেটে ভাত না থাকলে আনন্দের সাথে কাজ করা খুব কষ্টকর।

বক্তাগণ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছি। তিনি বিদেশে আছেন। দেশে ফিরলেই হয়ত কোনো সুখবর পাবো আমরা। তাই আজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।”

মানববন্ধনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো: আব্দুর রব, মিরপুর ফয়জুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমান, মানব কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মুজিবুর রহমান, ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম নোমান, শাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আইয়ুব আলী, ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: হুমায়ুন কবির তালুকদার, ফতেপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির তালুকদার, ভুলকোট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মানিক মিয়া। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, অচিরেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করনের দাবীতে চলমান অনশনে যোগ দিতে বাহুবল থেকে পর্যায়ক্রমে একেকটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করবে এবং জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।